• মারামারি করতে করতে লাইনে ঝাঁপ, তখনই স্টেশনে ঢোকে ব্যারাকপুর লোকাল, তারপর যা হলো...
    এই সময় | ১৩ জুন ২০২৫
  • ট্রেনের কামরায় বচসা। তা থেকে হাতাহাতি। স্টেশনে নামার পরেও থামানো যায়নি দুই যাত্রীকে। মারামারি করতে করতে রেল লাইনে নেমে যান একজন। সেই সময়েই ট্রেন চলে আসে। বিপদ বুঝে যাত্রীকে বাঁচাতে রেললাইনে ঝাঁপ মারেন RPF-এর এক মহিলা কনস্টেবল। তাঁর তৎপরাতেই রক্ষা পান যাত্রী। শুক্রবার সকালে দমদম স্টেশনের এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    পূর্ব রেল সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত শিয়ালদহ-রানাঘাট লোকালে। কোনও বিষয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েন দুই যাত্রী। প্রথমে ঝগড়া, সেখান থেকে হাতাহাতি। কিছুতেই ছাড়ানো যায় না। কামরার অন্য যাত্রীরাই খবর দেন RPF-কে। তাঁরাই দু’জনকে টেনে নামান দমদম স্টেশনে।

    কিন্তু তাতেও ওই দুই যাত্রীকে থামানো যায়নি। একে অন্যের জামার কলার ধরে কিল, চড়, ঘুষি মারতে থাকেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, প্ল্যাটফর্মে মারামারি করতে করতে রেললাইনে আচমকাই ঝাঁপ মারেন এক যাত্রী। সেই সময়েই লাইনে ঢুকছিল ব্যারাকপুর লোকাল। তা দেখে আর দেরি করেননি RPF-এর মহিলা কনস্টেবল করুণা কুমারী। তিনিও ঝাঁপিয়ে পড়েন লাইনে। ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন ওই যাত্রীকে। তারপর পাশে লাফ মারেন নিজেও। একেবারে সিনেমার মতো মুহূর্তের মধ্যে ঘটে যায় গোটা ঘটনা।

    লাফিয়ে পড়ার সময়ে মহিলা কনস্টেবল করুণার মাথা ফেটে যায়। লাইনে লাফিয়ে নেমে পড়ে জখম হন জগদীশচন্দ্র সরকার নামে ওই যাত্রীও। দু'জনকেই আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। চোখের সামনে এমন ঘটনা দেখে অবাক হয়ে যান স্টেশনের যাত্রীরা।

    পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত বলেন, ‘রানাঘাট-শিয়ালদহ লোকাল থেকে ওই যাত্রীদের নামানো হয়েছিল। এরপরই একজন স্টেশন থেকে রেল লাইনে লাফ দেন। তাঁকে বাঁচাতেই আরপিএফ মহিলা কনস্টেবল কর্মী রেল লাইনে নামেন। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।’

  • Link to this news (এই সময়)