গোটা গ্রামবাসীকে তাড়া করে বেরাচ্ছে ভূতের আতঙ্ক। ভূতের ভয়ে একেবারে ভিটে মাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন অনেক গ্রামবাসী। তাঁদের দেখে আবার অনেক পরিবার সেই গ্রাম ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ঘটনাটি বাঁকুড়ার ইন্দপুরের ভেদুয়াশোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁশকেটিয়া গ্রামের।
সূত্রের খবর, তফসিলি জাতি অধ্যুষিত, কৃষি প্রধান গ্রাম বাঁশকেটিয়ায় ৪০টি পরিবারের বাস। তিন বছরের মধ্যে ওই গ্রামেরই একটি পরিবারের তিন সদস্যের ‘অকালমৃত্যু’ হয় বলে কানাঘুষো। অসুস্থ হয়েই মৃত্যু হয় তাঁদের। এই ঘটনার পরেই গ্রামবাসীদের মনে ভূতের আতঙ্ক তৈরি হয়। এমনকী সংশ্লিষ্ট পরিবারের বর্তমান সদস্যরাও অন্য গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। গ্রামবাসীদের একটা অংশ অন্য গ্রামে চলে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছেন।
বাঁশকেটিয়া গ্রামবাসীদের দাবি, গ্রামে তিন সদস্যের মৃত্যুর পর থেকে রাতে প্রায়শই অদ্ভুত ধরনের শব্দ শোনা যায়। তার পরেই ওই পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। ধীরে ধীরে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়তে থাকে। এর পরেই প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে ওই গ্রামে জন সচেতনতা শিবির করেন বিজ্ঞান মঞ্চের ইন্দপুর বিজ্ঞান কেন্দ্রের কর্মীরা। গ্রামবাসীরা যাতে এ ধরনের ঘটনায় আতঙ্কিত না হন তার জন্য সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন।
সংগঠনের রাজ্য কমিটির সহ-সম্পাদক জয়দেব চন্দ্র বলেন, ‘কিছু মানুষ ভৌতিক ব্যাপার বলে বিষয়টি চালানোর চেষ্টা করছেন। বিষয়টি মোটেই তা নয়। আমাদের কর্মীরা গ্রামে গিয়েছেন, মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। আগামী দিনে আরও বড় ক্যাম্প করে হাতে-কলমে পুরো বিষয়টি মানুষকে বোঝানো হবে।’ ভেদুয়াশোল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মামণি পাত্র বলেন, ‘ব্লক ও পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি আমরাও গ্রামের মানুষদের সঙ্গে কথা বলেছি। ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’