আজকাল ওয়েবডেস্ক: বর্ষার মেঘ আসার পথ তৈরি। সেখান দিয়ে আগামী দুদিনের মধ্যে ওড়িশা উপকূল থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে বর্ষা। পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড এবং বিহারেও তিনদিনের মধ্যে বর্ষার দেখা মিলবে।
বাতাসে এখন জলীয় বাষ্পের পরিমান বেশি থাকার জন্য তীব্র গরমের শিকার হচ্ছেন বঙ্গবাসী। তবে এর থেকে দ্রুত মিলবে মুক্তি। আইএমডি-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আগামী দুদিনের মধ্যেই বঙ্গের প্রায় সর্বত্র ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির দেখা মিলবে।
শুক্রবার উত্তরের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। পাশাপাশি বইবে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুলি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টি হবে। শনিবারও সেখানে একই পরিস্থিতি থাকবে।
দক্ষিণবঙ্গে বেশ কয়েকটি অংশে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সঙ্গে বইবে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রামের বিস্তীর্ণ অংশে ভারী বৃষ্টি হবে।
রবিবারও দক্ষিণবঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। পাশাপাশি হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, কলকাতা, হাওড়াতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ১৪ জুন শনিবার নাগাদ দক্ষিণ–পশ্চিম মৌসুমি বায়ু মধ্য ও পূর্ব ভারতের কিছু রাজ্যে ঢুকে পড়তে পারে। আগামী দু’দিনে মধ্য ভারত এবং পূর্ব ভারতের কিছু অংশে মৌসুমী বায়ুর অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে। মৌসুমী অক্ষরেখার পশ্চিম অংশে অনুকূল পরিস্থিতির কথা জানালেও পূর্ব অংশ কবে সচল হবে তা নিয়ে এখনও কোন পূর্বাভাস নেই। ফলে দক্ষিণবঙ্গে কবে ঢুকবে বর্ষা তা এখনও নিশ্চিত নয়।
তবে বৃষ্টির জেরে রবিবারের মধ্যে তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এদিকে সোম ও মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমানে। অন্য জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।