সোনার দোকানে কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে যুবককে অপহরণের অভিযোগ। চাওয়া হয় মুক্তিপণও। ঘটনাটি হুগলির সিঙ্গুরের কামারকুণ্ডু হোসেনপুর এলাকার। শেখ মাফুজ (২৪) নিখোঁজ হওয়ার পরে তাঁর মা সিঙ্গুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তে নেমে শুক্রবার মাফুজকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় চার অভিযুক্তকে। তবে আরও দুজন অভিযুক্ত এখনও পলাতক। পুলিশ তাদের খুঁজছে।
হুগলি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কৃষাণু রায় জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা শেখ মাফুজের পূর্ব পরিচিত। সোনার দোকানে কাজ দেওয়ার নাম করে তাঁকে হরিপালের গজারমোর এলাকায় ডাকা হয়েছিল। এর পরে তাঁকে অপহরণ করে হরিপালের কামরাজপুর এলাকায় নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সেখানেই তাঁকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এর পরে তাঁর মা সাহেনারা বেগমের কাছে ৮ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়।
রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ সিঙ্গুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সাহেনারা। অভিযোগ পেয়ে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ। যে মোবাইল নম্বর থেকে সাহেনারা বেগমের কাছে মুক্তিপণের দাবি করে ফোন এসেছিল, পুলিশ সেটি ট্র্যাক করা শুরু করে। হরিপাল থানায় সেই মোবাইলের লোকেশন মেলে। এর পরে হরিপাল থানার সহযোগিতায় সেখানকার কামরাজপুর এলাকায় পৌঁছয় সিঙ্গুর থানার পুলিশ। একটি মাঠের ধারে নির্জন জায়গা থেকে শেখ মাফুজকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, এর পরেই সেখান থেকে শেখ শরিফ, শেখ নঈম, শেখ জাহাঙ্গীর ও শেখ হালিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রত্যেকেরই বাড়ি হরিপাল থানা এলাকায়। পুলিশ সেখান থেকে একটি বাইকও উদ্ধার করেছে। অভিযুক্তদের এর আগে কোনও ক্রাইম রেকর্ড রয়েছে কি না সেটাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। শুক্রবার এই চারজনকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে চন্দননগর মহকুমা আদালত।