সংবাদদাতা, মানিকচক: মানিকচকে জমি সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের সংঘর্ষে চার জন জখম হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচকের শ্যামপুর গ্রামে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক বৃদ্ধাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এনিয়ে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্ত পরিবার। তদন্তে নেমে পুলিস এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত দু’জনকে আটক করেছে। মানিকচক থানার চৌকি মিরদাদপুর পঞ্চায়েতের শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহানুর বেওয়া ও পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা ইসমাইল আনসারির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পাঁচ শতক জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। এই বিবাদের জেরে মাঝেমধ্যেই বচসায় জড়িয়ে পড়ে উভয় পরিবার। এদিন দুপুরেও শুরু হয় উভয়পক্ষের বচসা। বচসা চলাকালীন ইসমাইল ও তার পরিবারের সদস্যরা চড়াও হয় জাহানুর বেওয়ার ছেলে মোহাম্মদ ইমামের উপর। তাঁকে লোহার রড ও বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়। তাকে বাঁচাতে মা জাহানুর সহ অন্যান্য সদস্যরা এলে তাঁদের উপরও হামলা হয় বলে অভিযোগ। তবে স্থানীয়রা ছুটে আসায় সেখান থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। এই হামলায় ফেকিয়া বেওয়া, মোহাম্মদ ইমাম ও আলেহা বিবি গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন। সামান্য জখম হয়েছেন জাহানুর বেওয়া। তবে আলেহা বিবির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে মালদহ মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা মানিকচক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় জাহানুর বেওয়া মানিকচক থানার দ্বারস্থ হয়ে ইসমাইল আনসারি সহ ন’জনের নামে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এবিষয়ে তিনি বলেন, পাঁচ শতক জমি তারা দখল করার জন্য আমাদের উপর এই ধরনের অত্যাচার করছে। এদিন গ্রামবাসীরা ছুটে না এলে আমাদের প্রাণে মেরে ফেলত। তবে জাহানুর বেওয়ার পরিবার প্রথমে মারধর করেছে বলে দাবি ইসমাইলের স্ত্রী সালেহা বিবির। তিনি বলেন, আমাদের জায়গায় জোরপূর্বক ড্রেনের জন্য গর্ত করছিল তারা। আমার শ্বশুর তাদের বাধা দেন। সেসময় তারা আমার শ্বশুরকে মারধর করে। তখন বাবাকে বাঁচাতে আমার স্বামীও পাল্টা তাদের মারধর করে। তাদের মারে আমার স্বামী ও শ্বশুর জখম হয়েছেন।