• পুরুলিয়া-হাওড়া সুপার ফাস্ট ট্রেনের বাথরুমে সাপ, আতঙ্ক
    বর্তমান | ১৪ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: ট্রেনের শৌচাগারে সাপ! শুক্রবার সকালের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল পুরুলিয়া-হাওড়া সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেসে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোরে পুরুলিয়া থেকে হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেয় সুপারফাস্ট ট্রেনটি। ট্রেন চন্দ্রকোণা রোড স্টেশনে এক সাফাইকর্মী শৌচাগার পরিষ্কার করতে যান। তিনি লক্ষ্য করেন শৌচাগারের পাইপ লাইনের একটি সাপের লেজ লক্ষ্য করেন। ভয়ে তিনি বাথরুম থেকে বেরিয়ে চলে আসেন। এরপর তিনি বিষয়টি সুপার ভাইজারকে জানান। সুপারভাইজারের নির্দেশে ওই সাফাইকর্মী মোবাইলে গোটা দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করেন। 

    রেলের আধিকারিকরা বলেন, এরপর তড়িঘড়ি ওই বাথরুমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিন সকালে মেদিনীপুর স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছতেই বনদপ্তরের পক্ষ এক সর্পবন্ধু ও আরপিএফের একটি দল দ্রুত ট্রেনে উঠে সাপের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেন। কিন্তু প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালালেও সাপের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

    আরপিএফ সুবেদার দীপক ঘোষ বলেন, ট্রেনটিতে প্রায় আধঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু, সাপটি পাওয়া যায়নি। মোবাইলের ভিডিও দেখে বোঝা যাচ্ছে, এটি হয়তো বিষাক্ত সাপ নয়। কিন্তু, খবর পাওয়া মাত্রই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় ট্রেনের একাধিক যাত্রী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন প্ল্যাটফর্মে নেমে, আবার কেউ কেউ ট্রেনের কামরায় দরজার পাশে দাঁড়িয়ে সাপের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত সাপটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। যাত্রীদের প্রশ্ন, কীভাবে ট্রেনের ভিতরে  সাপ ঢুকল? রেলের এক আধিকারিক বলেন, যাত্রীদের আতঙ্ক কাটাতে ট্রেন চলাকালীন পর্যাপ্ত পর্যবেক্ষণ চালানোর নির্দেশও দেওয়া হয়।  

    মেদিনীপুরের এক বাসিন্দা বলেন, ট্রেনগুলি রাতে কারশেডে থাকে। সেখানে চারপাশে জঙ্গল রয়েছে। কোনওভাবে সাপ ঢুকে পড়েছিল। মেদিনীপুরের বাসিন্দা তথা রেলযাত্রী শম্পা মণ্ডল বলেন, যাত্রীরা টাকা খরচ করে যাত্রা করেন। ট্রেন ছাড়ার আগে সবকিছু ভালো করে পরীক্ষার প্রয়োজন।
  • Link to this news (বর্তমান)