যুবককে অপহরণ করে আট লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি, পুলিশের জালে চার ...
আজকাল | ১৪ জুন ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোনার কাজের প্রলোভন দেখিয়ে যুবককে অপহরণ করে ৮ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি। তদন্তে নেমে চার অভিযুক্তকে গ্ৰেপ্তার করল সিঙ্গুর থানা। আরও দুই অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
হুগলি জেলা গ্ৰামীণ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃশানু রায় জানিয়েছেন, সিঙ্গুরের কামারকুণ্ডু হোসেনপুর এলাকার বাসিন্দা শাহেনারা বেগম বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা সিঙ্গুর নাগাদ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলেন, তাঁর ছেলে শেখ মাফুজকে অপহরণ করা হয়েছে এবং ফোনে ৮ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেয়েই একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ। যে মোবাইল থেকে ফোন এসেছিল সেটির লোকেশন ট্রাক করা শুরু হয়। হরিপাল থানায় মোবাইলের লোকেশন পাওয়া যায়। সেই মতো সিঙ্গুর থানা হরিপাল থানার সহযোগিতায় হরিপালের কামরাজপুর এলাকায় পৌঁছায়। একটি মাঠের ধার থেকে অপহৃত শেখ মাফুজকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি অপহরণ কান্ডে জড়িত চার জনকে সেখান থেকে গ্ৰেপ্তার করে। একটি মোটর বাইকও উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযুক্তদের শুক্রবার চন্দননগর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশ আধিকারিকরা আরও জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা অপহৃত শেখ মাফুজের পূর্ব পরিচিত। সোনার কাজের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে হরিপালের গজারমোড় এলাকায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে তাঁকে অপহরণ করে হরিপালের কামরাজপুর এলাকায় একটা নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে রাখে অভিযুক্তরা। সেখানে থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় আরও দু’জন জড়িত আছে বলে জানা গেছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এদিকে, ধৃতরা হল শেখ শরিফ, শেখ নঈম, শেখ জাহাঙ্গীর, শেখ হালিম। প্রত্যেকের বাড়ি হরিপাল থানা এলাকায়। অভিযুক্তদের পুরনো কোনও ক্রাইম রেকর্ড আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। উল্লেখ্য অপহরণ কাণ্ডে অভিযোগের ৮ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার পর্দাফাঁস করল পুলিশ।