মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামীর উপর হামলা, গ্রেপ্তার ৫ বিজেপি কর্মী
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৪ জুন ২০২৫
খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামীর উপর হামলার অভিযোগ। তুমুল চাঞ্চল্য বাঁকুড়ার খাতড়ায়। এই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা প্রত্যেকে বিজেপির কর্মী বলে দাবি তৃণমূলের। যদিও হামলার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে বিজেপি। মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন, ‘আমি বিষয়টি পুলিশ-প্রশাসন এবং দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি। তাঁরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন।’
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে বাঁকুড়ার খাতড়া বাজারে গিয়েছিলেন খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামী তুহিন মান্ডি। তিনি মুদি দোকান থেকে কিছু জিনিসপত্র কিনছিলেন। সেই সময় ১৫-১৬ জনের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে তাঁর উপর হামলা চালায়। লাঠির আঘাতে তুহিনের পিঠে এবং ডান হাতে গুরুতর আঘাত লাগে। তাঁকে উদ্ধার করে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আপাতত বাড়িতেই রয়েছেন মন্ত্রীর স্বামী।
জ্যোৎস্না মান্ডির দাবি, তাঁর স্বামী রাজনীতির সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নন। স্বামীকে মারধরের জন্য তিনি বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াই থাকতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগত লড়াই ঠিক নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আমার স্বামীর হাতে সজোরে আঘাত লাগে। উনি সাধারণ মানুষ। উনি একজন সরকারি কর্মী। রাজনৈতিক জগতের কেউ নন। বাজার করতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর উপরে আক্রমণ করা হয়েছে।’
মন্ত্রীর কথায়, ‘শান্ত শহর খাতড়াকে অশান্ত করার জন্যই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমার স্বামীর উপরে এই হামলার মূল পান্ডা হলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা শান্তনু সিংহ। শান্তনুর নেতৃত্বে এলাকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা চলছে।’ খাতড়া মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তুহিন মান্ডির একটি হাতে চোট লেগেছে। লাঠির ঘায়ে পিঠেও আঘাত লেগেছে। এক্সরে হয়েছে।
তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক দীপক দাস বলেন, ‘এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কেউ যুক্ত নন। মিথ্যা অভিযোগে বিজেপির ৫ জন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার তৃণমূলের মদতপুষ্ট গুন্ডারা বিজেপির কার্যকর্তাদের উপরে হামলা করে। বিজেপির কর্মীরা রুখে দাঁড়ান। র্যাফও নামে। হয়তো সেই সময়ে বা নিজেদের মধ্যে মারামারি করতে গিয়ে আঘাত লাগে জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামীর। কে বা কারা রাতের অন্ধকারে মেরেছে তা প্রশাসন তদন্ত করুক।’