মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য পোস্ট করায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন হুগলি জেলার সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গাঙ্গুলি। শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল। এই মামলায় অভিযুক্ত ভূপাল ঘোষকে জামিন দিয়েছে আদালত। তিনি জানিয়েছেন, আগামী দিনে এই ধরনের কাজ আর তিনি করবেন না।
ভূপাল চুঁচুড়ার কোদালিয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের লাইব্রেরি রোডের বাসিন্দা। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একাধিকবার কদর্য ও কুরুচিকর ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন। অন্তত ২০টি ভাষায় তাঁকে আক্রমণ করা হয়েছে। সেই কুরুচিকর পোস্ট সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত। এর ফলে শুধুমাত্র দেশের নাগরিকরাই নন, বিদেশের নাগরিকদের মধ্যে অনেকেই তা দেখেছেন। এর জেরে মুখ্যমন্ত্রীর মানহানি হয়েছে।
আইনজীবী শঙ্কর গাঙ্গুলি জানিয়েছেন, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার নতুন আইন অনুযায়ী, দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী বা কোনও মন্ত্রীর মানহানি করা হলে সংশ্লিষ্ট জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর মামলা করতে পারেন। সেই মতো সরকারি অনুমতি নিয়ে গত ৫ জুন হুগলি জেলা জজ কোর্টে বিএনএস–এর ২২২ ধারায় মামলা দায়ের করেন শঙ্কর। অভিযুক্ত ভূপালের বিরুদ্ধে ৩৫৬/৪ ধারায় মামলা দায়ের হয়। এই মামলায় সর্বোচ্চ দু’বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা জরিমানা, অথবা উভয়ই হতে পারে।
এই মামলায় আদালত অভিযুক্ত ভূপাল ঘোষকে জামিন দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তিনি একজন সাধারণ মানুষ। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা অবসাদগ্রস্ত হয়ে তিনি ওই বিতর্কিত পোস্টটি করেছিলেন। আগামী দিনে এই ধরনের কোনও কাজ তিনি করবেন না বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এই প্রথম কারও বিরুদ্ধে মামলা করেছেন হুগলি জেলার সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গাঙ্গুলি। এতদিন অন্যের করা মামলায় আদালতে সওয়াল করেছেন তিনি। তাঁর সওয়ালের জোরে এখনও পর্যন্ত চার জনের ফাঁসির সাজা ও অসংখ্য যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। এ বার তিনি নিজে কারও বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সেই মামলায় সওয়ালও করেছেন তিনি নিজেই।