পার্থ চৌধুরী: উচ্চ মাধ্যমিকের পর এবার সর্বভারতীয় ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় নজরকাড়া ফল করল বর্ধমানের রূপায়ণ পাল। শনিবার ফল প্রকাশিত হয়েছে নিট-এর(NEET)। সেই পরীক্ষায় দেশ ২০তম স্থান দখল করেছে রূপায়ণ। রাজ্য সম্ভবত প্রথম বা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে।
বর্ধমান সিএমএস হাইস্কুলের ছাত্র রূপায়ণ পাল। উচ্চ মাধ্যমিকে সে রাজ্যে প্রথম হয়েছিল। রূপায়ণ জানিয়েছে, ক্লাস এইট থেকেই একটি বেসরকারি সংস্থায় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশিক্ষণ নিত। পরে একাদশ শ্রেণি থেকে সে নিট-এর দিকে ঝুঁকতে থাকে। রূপায়ণ জানিয়েছে, তার সাফল্যে বাবা-মা ও শিক্ষকদের অবদান রয়েছে। সে ভর্তি হতে চায় এইমস-এ। পড়াশোনা শেষ করে রাজ্যে ফিরতে চায়। বাংলা মাধ্যমের পড়ুয়াদের হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই। তারাও সর্বভারতীয় পরীক্ষায় সাফল্য পাচ্ছে।
কেন ডাক্তারিতেই ফোকাস। রুপায়ণের বক্তব্য, প্রথম থেকেই মেডিক্যালই মাথায় ছিল। ডাক্তার হলে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে। পেশার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সেবাও করা যাবে। তাই ডাক্তারিতে আসার চেষ্টা।
উল্লেখ্য, উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম স্থান দখল করে ছিল বর্ধমান সিএমএস হাই স্কুলের রূপায়ণ পাল। পরীক্ষায় মোট ৫০০ নম্বরের মধ্যে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৪৯৭। শতাংশের নিরিখে ৯৯.৪। তাই নিট-এর ফল খুব একটা অপ্রত্যাসিত ছাল না। বাব-মা দুজনেই ইংরেজির শিক্ষক। তারা সবসময় ছেলের পাশে থেকেছেন।
অধিকাংশ সময় রূপায়ণ বইয়ে মুখ গুঁজে কাটত ঠিকই, কিন্তু সুযোগ বুঝেই ঢুঁ মারত গোয়েন্দা গল্পের দুনিয়ায়। অবসরে চোখ রাখত খেলার চ্যানেলেও। ভিন্ন ভিন্ন জগতের দুনিয়ায় মগ্ন থেকেও এই কৃতীর স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়ার। সেই স্বপ্ন পূরণের দিকে আরো এক ধাপ এগোল রূপায়ণ পাল।