বিমল বসু: নীল ছবি দেখিয়ে নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ সৎ বাবার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত গুনধর সৎ বাবাকে গ্রেফতার করল পুলিস।
অশ্লীল ভিডিয়ো দেখিয়ে নাবালিকা মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ সৎ বাবার বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগণার হাড়োয়া থানা এলাকার ঘটনা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ বছরের নাবালিকা কন্যাকে অশ্লীল ভিডিয়ো দেখিয়ে এবং বিভিন্নভাবে আকর্ষণ করে নাবালিকা কন্যাকে তিন থেকে চার মাস ধরে লাগাতার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠে সৎ বাবার বিরুদ্ধে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্ষণ করার পরেও বিষয়টি যাতে জানাজানি না হয় তার জন্য হুমকি দিতেন ওই গুণধর সৎ বাবা। তারপর পরে বিষয়টি জানাজানি হতেই নাবালিকার মাসি হাড়োয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে হাড়োয়া থানার পুলিস পক্সো আইনে একটি মামলা রুজু করে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি গতকাল রাতে ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিস। ধৃতের নাম আব্দুল্লা মণ্ডল।
অন্যদিকে, বিষয়টি চাইল্ড লাইনে জানালে জেলা শিশু সুরক্ষা দফতরের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নজরে রাখা হয়েছে এবং তাদের প্রতিনিধি পাঠিয়ে বিষয়টি ইতিমধ্যে খোঁজখবর শুরু করেছেন তারা চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধি তমাল রায় বলেন, 'এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি করছি এবং নাবালিকা কন্যার পাশে আমরা আছি যতক্ষণ পর্যন্ত এই দোষী ব্যক্তি শাস্তি না পাচ্ছে।' স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। ধৃতকে আজ শনিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
প্রসঙ্গত, এই ধরণের ঘটনা ঘটে বীরভূমে। নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার গুণধর বাবা। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম শেখ শাহাবুদ্দিন। গ্রেফতার করে সদাইপুর থানার পুলিস। জানা গেছে, প্রায় দু মাস ধরে তার নিজের মেয়েকে হাত, পা বেঁধে ওষুধ খাইয়ে নির্মম এই অত্যাচার চালাত তারই জন্মদাতা।
এই অত্যাচার দিনের পর দিন সহ্য করে গিয়েছে ওই নাবালিকা। গত কয়েকদিন আগে মামার বাড়িতে এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। সে মামার বাড়ি থেকে আর বাড়ি ফিরতে রাজি ছিল না। কেন ওই নাবালিকা বাড়ি ফিরতে নারাজ সেই নিয়ে কৌতূহল শুরু হয় পরিবারের মধ্যে। আর এরপরেই জানাজানি হয় আসল রহস্য।