• ভরা বাজারে মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামীকে ‘বেধড়ক মার’, পুলিশের জালে ৪ বিজেপি কর্মী
    প্রতিদিন | ১৪ জুন ২০২৫
  • দেবব্রত দাস, খাতড়া: ভরা বাজারে খোদ মন্ত্রীর স্বামীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার খাতড়া শহরে শুক্রবার রাতে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামী তুহিন মান্ডিকে খাতড়া শহরের দাসের মোড় এলাকায় মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার পরেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ও পুলিশ গিয়ে তুহিন মান্ডিকে উদ্ধার করেন। পরে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে তাকে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। রাতেই তুহিন মান্ডি পুলিশের কাছে স্থানীয় বিজেপি নেতা শান্তনু সিংহ-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ চারজন বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে।

    রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন, “অন্যান্য দিনের মতোই আমার স্বামী শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ খাতড়ার করালি মোড় দাসের মোড় এলাকায় গিয়েছিলেন। সেই সময়েই তার উপরে স্থানীয় বিজেপি নেতা শান্তনু সিংহের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন অতর্কিতে তাকে আক্রমণ করে। তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। আমার স্বামী রাজনীতি করেন না। উনি একজন সরকারি কর্মী। তারপরেও বিজেপির দুষ্কৃতীরা পরিকল্পিতভাবে আমাকে টার্গেট করেই আমার স্বামীর উপর এই ঘৃণ্য হামলা চালিয়েছে।”

    মন্ত্রীর অভিযোগ, “শান্ত শহর খাতড়াকে অশান্ত করার জন্যই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমার স্বামীর উপরে এই হামলার মূল পান্ডা হলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা শান্তনু সিংহ। শান্তনূর নেতৃত্বে এলাকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টা চলছে।” খাতড়া মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তুহিন মান্ডির একটি হাতে চোট লেগেছে। লাঠির ঘায়ে পিঠেও আঘাত লেগেছে। এক্সরে হয়েছে। যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মন্ত্রীর স্বামীর আচরণে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ। সামান্য বছর থেকেই এই গন্ডগোল হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে আমাদের দলের স্থানীয় কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন এটা সত্যি। কিন্তু তারা কেউ মারধর করেনি। মিথ্যা কেসে ফাঁসানোর জন্যই আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় রাতেই চারজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরার চেষ্টা চলছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)