বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: হাতির পাল ঘুরছে বিভিন্ন এলাকায়। গত বেশ কয়েক মাসে হাতির হানায় একাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। মাঠের ফসল নষ্ট হচ্ছে হাতির হানায়। ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে। বুনো হাতির হামলা ঠেকাতে জঙ্গল সংলগ্ন ৭২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ব্যাটারিচালিত ফেন্সিং বসানোর উদ্যোগ বন দপ্তরের।
উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল এস কে মোলে বলেন, “ফেন্সিং বসানো ছাড়াও জঙ্গলে খাদ্য ভান্ডার গড়ে তোলা হচ্ছে।” বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি মহকুমা, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার-সহ একাধিক জেলায় হাতির তাণ্ডব বেড়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। অন্যদিকে বিঘার পর বিঘা ফসল, ঘরবাড়ি, স্কুল, দোকান নষ্ট হচ্ছে। ইতিমধ্যে হাতির হানা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে বন দপ্তর। তিস্তার চর এবং জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় ভুট্টা চাষ বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
কিন্তু ভুট্টা উঠে গেলেও জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় হাতির হানা কমছে না। সম্প্রতি হাতির হামলা বেশি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলায়। এখানে বুনোদের হামলা প্রতিরোধের দাবিও উঠেছে। উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল এস কে মোলে আরও বলেন, “সাধারণ মানুষের দাবি মেনে নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলায় বনাঞ্চল সংলগ্ন ৭২ কিলোমিটার এলাকায় ব্যাটারিচালিত ফেন্সিং বসানো হবে। ইতিমধ্যে সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। কাজ দ্রুত শুরু হবে।” বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বেড়া বসাতে জন্য প্রতি কিলোমিটারের জন্য ৪ লক্ষ টাকা খরচ হবে। বনকর্তারা জানিয়েছেন, যেখানে আগের বেড়া বিকল হয়েছে সেখানে নতুন বেড়া বসানো হবে। সেই হিসাবে জলপাইগুড়ি জেলার সাতটি রেঞ্জে ১০ কিলোমিটার করে ব্যাটারিচালিত বেড়া বসবে।