কেষ্ট-কাজলকে এক হয়ে চলার বার্তা, ছাব্বিশের আগে বীরভূমের সংগঠন আরও মজবুতে তৎপর তৃণমূল
প্রতিদিন | ১৪ জুন ২০২৫
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বীরভূমে সংগঠন আরও মজবুত করতে তৎপর তৃণমূল। মতানৈক্য, ব্যক্তিস্বার্থ দূরে সরিয়ে এক হয়ে দলের জন্য কাজ করতে হবে বলে শনিবার অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখকে বার্তা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। দুজনকে এক হয়ে চলার বার্তাও দেওয়া হয়েছে। পরস্পরের মধ্যে সংঘাত কমানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে। তাঁদের সংঘাতের প্রভাব দলের ফলাফলে পড়লে দলের রোষানলের পড়তে হবে দুজনকেই। স্পষ্ট করে দিয়েছে দল।
আজ ২১ জুলাই নিয়ে বৈঠকে বসছিলেনন তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। দলের সমস্ত জেলার সভাপতি, জেলা চেয়ারম্যান ও বীরভূম এবং উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্যদের ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। ডাকা হয়েছে দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা ও মন্ত্রীকেও। মূল বৈঠকের আগে বীরভূমের দুই দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখকে নিয়ে বৈঠক করেন জলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে জেলার দুই নেতাকেই কড়া বার্তা দেয় দলের হাই কমান্ড।
দলীয় সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে কড়া মেজাজে কাজল এবং কেষ্টকে ধমক দেন বক্সি। পরস্পরের মধ্যে সংঘাত কমানোর বার্তা দেন তিনি। দলের সাফ কথা, পারস্পরিক দূরত্বের কারণে সংগঠন যেন কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সংগঠন বা নির্বাচনের ফলাফলে দুজনের সংঘাতের প্রভাব পড়লে উভয়কেই দলের রোষানলে পড়তে হবে। দুই নেতাকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই বৈঠক প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলা যাবে না।
প্রসঙ্গত, জেলমুক্তির পরও জীবন মোটেই আগের ছন্দে ফেরেনি। অসুস্থতা, রাজনৈতিক বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। সম্প্রতি পুলিশ আধিকারিককে ফোনে অশ্লীল গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়ার ভাইরাল অডিও আরও বিপদে ফেলেছে। সেইসঙ্গে জেলায় দলের যে পদ ছিল, তার বদলে এখন স্রেফ দায়িত্বপ্রাপ্ত কোর কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ চালাতে হচ্ছে। এর মধ্যেই তাঁকে এবং কাজল শেখকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল কলকাতায়।