• ‘জলটা যেন না ঢোকে…’, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজের গতি দেখে ‘ধমক’ মন্ত্রীর
    এই সময় | ১৪ জুন ২০২৫
  • গত বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ রাজ্য করবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার এই প্রকল্পের অধীনে তৈরি হওয়া পাঁচটি স্লুইসগেট তৈরির কাজ দেখতে গিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন ও সেচ দপ্তরের মন্ত্রী ডাঃ মানসরঞ্জন ভুঁইয়া। বর্ষা আসার আগেই যাতে কাজ শেষ হয়, সেই ব্যাপারে কড়া বার্তা দিলেন মন্ত্রী।

    প্রসঙ্গত, রাজ্য বাজেটে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের পর ঘাটালের শিলাবতী ও দাসপুরে রূপনারায়ণ নদীর উপর স্লুইসগেট নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ চললেও কাজের গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মন্ত্রী।

    শনিবার পরিদর্শনে এসে সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের কাজের গতি আরও বাড়ানোর ব্যাপারে নির্দেশ দেন তিনি। মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইয়ার সঙ্গে এ দিন ছিলেন সেচ দপ্তরের অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি মনীশ জৈন, জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরী, ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস-সহ জেলা ও মহকুমা প্রশাসনের একাধিক অফিসার।

    পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানান, এলাকার দীর্ঘদিনের বন্যার সমস্যা মেটাতে এই প্রকল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোনওরকম গাফিলতি সহ্য করা হবে না। দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আধিকারিকদের ‘ধমক’ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘ওইসব কিছু নয়। গোদা বাংলায় একটাই কথা বলেছি, বর্ষা আসছে। জলটা যেন না ঢোকে...সে জন্য যা করার করতে হবে। আমরা সবসময়ই পাশে আছি। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী পাশে আছেন।’ পরিদর্শন শেষে জেলা ও মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে ঘাটালে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকও করেন মন্ত্রী।

    উল্লেখ্য, স্লুইসগেট নির্মাণ ছাড়াও গার্ডওয়াল তৈরির জন্যও বরাদ্দ করা হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। সেচ দপ্তর সূত্রে খবর, ঘাটাল শহরের মধ্যে দিয়েই প্রবাহিত হয়েছে শিলাবতী নদী। এই নদীর বাঁদিকের পাড় বরাবর প্রায় ৩.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি গার্ডওয়াল তৈরি করা হবে। দ্রুততার সঙ্গে কাজ হলে আগামী বর্ষার আগেই কাজ অনেকটা এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন আধিকারিকেরা।

  • Link to this news (এই সময়)