• তমলুকে ব্যাঙ্কে জাল নোট জমা, গ্রাহকদের বিরুদ্ধে এফআইআর
    বর্তমান | ১৫ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: ব্যাঙ্কে টাকা জমা দেওয়ার সময় গ্রাহককে সতর্ক থাকতে হবে। কোনওভাবে টাকার বান্ডিলের মধ্যে জাল নোট ঢুকে থাকলে এফআইআর করছে ব্যাঙ্ক। তমলুক শহরে আবাসবাড়ি এসবিআই শাখায় ১১মাসে মোট ৫৯০০টাকার জাল নোট চিহ্নিত হয়েছে। নোটের পরিমাণ ১৩টি। তারমধ্যে ১১টি ৫০০টাকার এবং দু’টি ২০০টাকার জাল নোট রয়েছে। ওইসব নোট জমা দিতে আসা গ্রাহকদের বিরুদ্ধে এফআইআর করলেন এসবিআইয়ের তমলুকের চিফ ম্যানেজার সৌম্য চট্টোপাধ্যায়। গ্রাহকের নামে এফআইআর রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।

    অভিযোগকারী এসবিআইয়ের চিফ ম্যানেজার সৌম্যবাবু বলেন, ২০২৪সালের ২জুলাই থেকে এবছর ৩১মে পর্যন্ত শহরে আবাসবাড়ি শাখায় মোট ৫৯০০টাকার জাল নোট জমা পড়েছে। আমাদের ব্যাঙ্কের স্টাফ এবং নোট শর্টিং মেশিনে সেগুলি ধরা পড়েছে। জাল নোট ব্যাঙ্কে এলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশিকা রয়েছে। তারভিত্তিতে ১০জুন আমি তমলুক থানায় এফআইআর করেছি।

    এসবিআই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বলরাম মাইতি, ছবি কুইল্যা, নিত্যানন্দ জানা, সুপ্রিয়া জানার মতো গ্রাহকদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন। টাকা জমা দেওয়ার সময় বান্ডিলের ভিতর একটি করে ৫০০টাকার জাল নোট ছিল। ব্যক্তিগত গ্রাহকদের পাশাপাশি নকল নোট পাওয়া গিয়েছে সরকারি দপ্তর থেকে জমা দেওয়া টাকা থেকেও। তমলুক রেলওয়ে স্টেশন এবং তমলুক অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকেও ব্যাঙ্কে নকল নোট জমা দেওয়ার সময় চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও, একটি স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্ক থেকে বেশকিছু জাল নোট জমা করার সময় ব্যাঙ্ক কর্মীরা সেগুলি চিহ্নিত করে বাদ দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, জাল নোট ছাপানো এবং ছড়ানো দুই-ই অপরাধ। ব্যাঙ্কের তরফে ১১টি ৫০০টাকা এবং দু’টি ২০০টাকার জাল নোট পরীক্ষা করার জন্য নোট প্রিন্টিং প্রেস কিংবা ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর জন্য পুলিসের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। এসংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে তুলে ধরা যাবে। পরীক্ষার পর নোটগুলি ফের ব্যাঙ্কের কাছে ফেরত দিতে হবে। তমলুক থানার পুলিস মামলা গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করেছে। ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক বলেন, অনেক সময় জাল নোট সরকারি অফিসে জমা দেওয়া হয়। সেখানে ঠিকমতো চেকিং না হওয়ায় ধরা পড়ে না। কিন্তু, ব্যাঙ্কে নিখুঁতভাবে নোট চেকিং হয়। তাই সরকারি অফিস থেকে ওইসব জাল নোট ব্যাঙ্কে জমা দিতে আসার পর চেকিংয়ে ধরা পড়েছে। ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে জাল নোট উদ্ধারের বিষয়টি ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর পোর্টালে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এরসঙ্গে থানাতেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তমলুক থানার আইসি সুভাষচন্দ্র ঘোষ বলেন, আমরা ব্যাঙ্ক থেকে জাল নোট সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)