• OBC তালিকা নিয়ে ফের জট, স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে মামলা, মঙ্গলে শুনানির সম্ভাবনা
    এই সময় | ১৬ জুন ২০২৫
  • ওবিসি তালিকা নিয়ে ফের জট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের নতুন মামলা। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এবং বিধি না মেনে, নামমাত্র সমীক্ষা করে তড়িঘড়ি নতুন ওবিসি তালিকা প্রকাশের অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে। নতুন তালিকার উপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে মামলাকারীর পক্ষ থেকে।

    এ দিকে আগামিকাল, অর্থাৎ মঙ্গলবার বিকেল থেকে সমস্ত জায়গায় ভর্তির পোর্টাল খুলে যাচ্ছে। ফলে মঙ্গলবার দুপুর ২টোর সময়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ডিভিশন বেঞ্চ, প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে এমনটাই। রাজ্যের তড়িঘড়ি নতুন তালিকা প্রকাশ করা নিয়ে ক্ষুব্ধ হাইকোর্টও। সে ক্ষেত্রে কী নির্দেশ দেবে আদালত? সেই দিকে সব নজর।

    উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিধানসভা অধিবেশনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, আদালতের নির্দেশে নতুন অনগ্রসর সম্প্রদায়ের তালিকা তৈরি হয়েছিল। কোন কোন জনগোষ্ঠীকে ওবিসি হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে তার নির্দিষ্ট তালিকাও কিছুদিন আগে প্রকাশ করেছিল অনগ্রসর সম্প্রদায় উন্নয়ন কমিশন। নতুন তালিকাতে ওবিসি হিসেবে ১৪০টি জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করেছে।

    সোমবারও ওবিসি তালিকা নিয়ে বিধানসভায় বিস্তারে ব্যাখ্যা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘রাজ্যে ২৬ শতাংশ এসসি সংরক্ষণ রয়েছে। এসটি সংরক্ষণ ৬ শতাংশ। প্রত্যেকে হিন্দুদের মধ্যে পড়ে। রাজ্যে ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু রয়েছে। পিছিয়ে থাকা সংখ্যালঘুদের খেতে-পরতে দেবো না, তা হতে পারে না। সামাজিক এবং আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়ার উপর ভিত্তি করে মণ্ডল কমিশন অনুযায়ী ওবিসি সংরক্ষণ করা হয়েছে।’

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২২ মে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দেয়। আদালত জানিয়েছিল, ২০১০ সালের পর থেকে ওবিসি শংসাপত্র প্রাপকদের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে, তা ১৯৯৩ সালের ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস আইনের পরিপন্থী। সেই শংসাপত্রগুলি আর কোথাও ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছিল আদালত। এ বার নতুন তালিকা নিয়েও মামলা। কী নির্দেশ দেয় আদালত? সেই দিকে সব নজর।

  • Link to this news (এই সময়)