• স্বামীর সঙ্গ পছন্দ নয়! অন্য পুরুষে মজে স্ত্রী, তারপর হঠাত্‍ই...
    ২৪ ঘন্টা | ১৭ জুন ২০২৫
  • বিধান সরকার: অন্য যুবকের সঙ্গে মেলামেশা, স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন, চুঁচুড়ায় আত্মঘাতী অস্থায়ী হোমগার্ড। চন্দননগর কমিশনারেটের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত মহিলা ট্রাফিক কর্মী ছিলেন দেবপ্রিয়া শেঠ (৩৪)। রবিবার রাতে বাপের বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন বলে জানা গিয়েছে।

    হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের গড়বাটি রাজরাজেশ্বরী তলায় দেবপ্রিয়া বাবা মায়ের সঙ্গে তার মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। বেশ কিছুদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে অশান্তি চলছিল বলে মৃতের পারিবার সূত্রে খবর। তা থেকে অবসাদ আর সেই কারণে আত্মঘাতী হন ওই মহিলা ট্রাফিক কর্মী।

    দেবপ্রিয়ার মা মঞ্জুলা ভট্টাচার্য জানান, 'মেয়ে অভিষেক নামে এক যুবকের সঙ্গে মেলামেশা করত। সেসব কথা জামাইকে বলে দিত নাতনি। নাতনি আমার মেয়ের থেকে ওর বাবাকে বেশি ভালোবাসত। তা নিয়ে মেয়ের অভিমান ছিল। গত সাত মাস ধরে মেয়ের সঙ্গে জামাইয়ের অশান্তি চলছিল। জামাই আমাদের বাড়িতে আসত না। যে যুবকের সঙ্গে মিশত তার বাড়িতে গিয়ে অশান্তি করে আসে কয়েকদিন আগে। মেয়ের ডায়রিতে সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছে, মৃত্যুর জন্য জামাই আর ওর মেয়েকে দায়ী করে গিয়েছে। অভিষেক দায়ী নয়। আমরা কোনও পুলিস কেস করব না। নাতনিটাকে ওর বাবা দেখবে বলেছে। আমরা আর কদিন আছি।'

    ত্রিশ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৌমিত্র ঘোষ বলেন, 'ট্রাফিক হোম গার্ডের কাজ করত মহিলা। পারিবারিক কোনও অশান্তি ছিল যে কারণে গতকাল সে আত্মহত্যা করে। একটা সুইসাইড নোট ও নাকি লিখে দিয়ে গিয়েছে।' পুলিস ঘটনা দেখছে।

    আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ... 

    iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১

    কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)