নন্দন দত্ত, সিউড়ি: অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিল প্রেমিকা! এই অভিযোগে সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে যায় প্রেমিক। বিয়ে করতেও অস্বীকার করেন। আর এই সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হল তাঁর কাকাকে। প্রেমের সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরে তরুণীর পরিবারের লোকজন যুবকের বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তাদের মারে মৃত্যু হয় প্রেমিকের কাকার। ঘটনাটি ঘটে বীরভূমের মুরারই থানার পশ্চিম কাশিমবাজার এলাকায়।
আলি হোসেন সঙ্গে একই পাড়ার এক তরুণীর প্রেম ছিল দীর্ঘদিন ধরে। প্রেমিকা মামার বাড়ি পশ্চিম কাশিম বাজারে থাকত। সম্প্রতি দু’জনের সম্পর্কে তৃতীয় জন ঢুকে পড়ে। যার জেরে আলি হোসেন সম্পর্ক থেকে সরে এসে বিয়েতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে। তাকে ঘিরে দ্বন্দ্ব শুরু হয় দুই পরিবারের মধ্যে।
ঘটনার জেরে, গত ৮ জুন রবিবার সন্ধ্যায় প্রেমিকার মামার বাড়ির একাধিক সদস্য মামা ও মামাতো ভাইয়েরা ধারালো অস্ত্র-সহ আলি হোসেনের বাড়িতে চড়াও হয়। আলির পেট, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। গুরুতর জখম হন তিনি। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসে ভাই এমারুল সেখ, কাকা জাকির হোসেন, কাকা সার্জেন সেখ এবং আত্মীয় হাবিল সেখ। তাদেরও ছাড়েনি হামলাকারীরা। ধারালো অস্ত্রের কোপে জাকির হোসেন, এমারুল সেখ ও সার্জেন সেখ গুরুতর আহত হন। সার্জেন সেখের মাথা, পিঠ ও পেটে মারাত্মক জখম হয়। প্রেমিকার পরিবারের সদস্যরাও আহত হন ঘটনায়। আহতদের প্রথমে মুরারই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের রেফার করা হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে টানা আট দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর, রবিবার রাতে মৃত্যু হয় প্রেমিকের কাকা সার্জেন সেখের। বয়স ৩২ বছর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলার মূল অভিযুক্তরা এখনও পলাতক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মুরারই থানার পুলিশ। গুরুতর আহত অন্যান্য সদস্যরা এখনও রামপুরহাট মেডিক্যালে ভর্তি রয়েছেন এবং তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য তল্লাশি জারি রয়েছে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।