মাথার কাঠের বোঝা নামিয়ে বইয়ের পাতায় মন খুদেদের, পাহাড়চূড়োর গ্রামে শিক্ষার আলো জ্বালছেন আদিবাসী বধূ
প্রতিদিন | ১৭ জুন ২০২৫
সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: এ যেন কবি জয় গোস্বামীর মালতিবালা বালিকা বিদ্যালয়! তবে শুধু বালিকা নয়, বালকও রয়েছে।
পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি ব্লকের অযোধ্যা পাহাড়চূড়োর গ্রাম জিলিংসেরেঙ-এ এভাবেই চলছে মালতির বিনা পয়সার স্কুল। সাঁওতালি, বাংলা মাধ্যমের স্কুলের একমাত্র শিক্ষক আদিবাসী বধূ মালতি মুর্মু। আর তাঁর হাত ধরেই শিক্ষার আলো জ্বলছে পাহাড়চূড়ার ওই পিছিয়ে পড়া গ্রামে। মালতিবালা বিদ্যালয়ের হাত ধরেই স্কুলমুখী হচ্ছে শিশুরা। কমছে স্কুলছুটের সংখ্যাও।
যে গ্রামে রাজ্যে পালাবদলের পরেও ছিল না রাস্তা। বিচ্ছিন্ন গ্রাম ছিল মাওবাদীদের ডেরা। সন্ধ্যাতে রাত নেমে এলেই মশাল জ্বালিয়ে সমাজ বদলানোর পাঠ দিত মাওবাদীরা। সেইসব হাড় হিম করা দিন আজ অতীত হলেও হাতি-মানুষে অসম সংঘাত এখনও চলছে এই গ্রামে। বুনো হাতির সঙ্গে লড়াই করেই দিন কাটে তাদের। জঙ্গল-পাহাড়-টিলার এই গ্রাম থেকে ঝালদার দূরত্ব ১৮ কিমি। বাঘমুন্ডি ২৫। বাসপথে কোনও যোগাযোগ নেই। সকলের মোটরবাইক, এমনকী সাইকেল পর্যন্ত নেই। হাঁটা পথই যোগাযোগের মাধ্যম। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন স্থায়ী শিক্ষক ও দু’জন পার্শ্ব শিক্ষক থাকলেও তাঁরা নিয়মিত আসেন না বলেন অভিযোগ।