কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা না মেনে খেলাধুলোর পরে ঝিলে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল ১৪ বছরের এক কিশোর। রবিবার সকাল ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের হেলিপ্যাড সংলগ্ন একটি ঝিলে। খবর পেয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা এসে ওই কিশোরকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অভিজিৎ শর্মা। তার বাড়ি ব্যাঁটরার কদমতলা এলাকায়। ওই কিশোর সাঁতার জানত না।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বন্ধুরা মিলে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলার পরে তিন-চার জন বন্ধুর সঙ্গে হেলিপ্যাডের পাশে ওই গভীর ঝিলে নেমেছিল অভিজিৎ। কিছু ক্ষণ পরে বন্ধুরা যখন দেখে অভিজিৎ জলে ডুব দিয়ে আর উঠছে না, তখন তারা চিৎকার শুরু করে। তাদের চিৎকারে ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন। ছুটে আসেন ডুমুরজলা রিং রোডে কর্তব্যরত চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশকর্মীরা। তাঁরাই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে খবর দেন। সেখান থেকে ডুবুরি এসে ওই কিশোরকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কিশোরের দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, সাঁতার না জানার জন্যই অভিজিৎ খালের জলে তলিয়ে যায়। মিঠুন অধিকারী নামে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, ‘‘ছেলেগুলো মাঠে খেলছিল। খেলার পরে ওই ঝিলে নামতে যায়। তখনই ওদের বারণ করেছিলাম। কারণ, ডুমুরজলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন ঝিলে স্নান করায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আমাদের চোখ এড়িয়ে ছেলেগুলো ঝিলে নামায় এমন ঘটল।’’
প্রসঙ্গত, বছর কয়েক আগে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের ওই ঝিলে স্নান করতে গিয়ে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছিল। তার পর থেকে স্নানে নিষেধজ্ঞা জারি করে স্টেডিয়াম রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থা।