দিঘা থেকে জগন্নাথের প্রসাদের খোয়া এসে গিয়েছে জেলায়। ‘কোল্ড চেন’ ব্যবস্থায় তা যাবে ব্লক অফিসে।খোয়া মিশিয়ে প্রসাদ তৈরি, গুণমান পরীক্ষা করে খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিকের ছাড়পত্র দেবেন। তবেই তা বিলি হবে ঘরে ঘরে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসাদ তৈরির জন্য দু’তিনটি মিষ্টির দোকানের দায়িত্ব খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকদের দেওয়া হচ্ছে। প্রসাদ তৈরির পরে কোল্ড-চেন পদ্ধতিতেই ব্লক অফিসে যাবে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত জায়গায় বাক্সবন্দি হয়ে থাকবে সেটি। সেই বাক্সে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ছবি থাকবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ‘দুয়ারে রেশন’ পদ্ধতিতে তা বিলি হবে। প্রাপকেরা ই-পস যন্ত্রে আঙুলের ছাপ দিয়ে পাবেন দিঘার জগন্নাথের প্রসাদ।
জানা গিয়েছে, জেলায় জেলায় ১০ কেজি করে আসা খোয়া সার্কিট হাউসে রাখা আছে। জেলা প্রশাসন নির্দিষ্ট সংস্থার মাধ্যমে স্থানীয় ভাবে মিষ্টির দোকানগুলিতে প্রসাদের পেঁড়া ও গজা তৈরির বরাত দিচ্ছে। দরপত্র ডাকা হয়েছে। বরাত পাওয়ার পরে প্রসাদী খোয়া মিষ্টির দোকানগুলিতে চলে যাবে। পেঁড়া ও গজা তৈরি হয়ে গেলে মাপ, ওজন, মান পরীক্ষা করে দেখবেন খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা। আবার বীরভূমের মতো কয়েকটি জেলা কেন্দ্রীয় ভাবে পেঁড়া ও গজা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা থাকবেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কবে থেকে প্রসাদ বিতরণ শুরু করতে হবে, তার নির্দেশ এখনও জেলায় আসেনি। তবে বৃহস্পতি-শুক্রবার থেকে দুয়ারে রেশনের মাধ্যমে প্রসাদ দেওয়া শুরু হতে পারে। ঠিক হয়েছে, ই-পস যন্ত্রের মাধ্যমে দুয়ারে রেশনের মতো আঙুলের ছাপ দিয়ে প্রসাদ সংগ্রহ করতে হবে। কোনও কারণে ই-পস যন্ত্র গোলমাল করলে‘মাস্টার রোল’ পদ্ধতিতে প্রসাদ দেওয়া হবে। পূর্ব বর্ধমানে সাত লক্ষ বাড়িতে প্রসাদ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বাড়ির সংখ্যা বাড়তে পারে। তবে, প্রথম দিন দু’লক্ষ বাড়িতে প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে। জেলাশাসক (পূর্ব বর্ধমান) আয়েষা রানি এ বলেন, “রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতোই সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”