• দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ছবি থাকবে নবান্নে! মন্ত্রী, বিধায়কদেরও সেই ছবি টাঙানোর বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
    আনন্দবাজার | ১৬ জুন ২০২৫
  • দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ছবি নবান্নে টাঙানো হবে। সোমবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে ছবি উপহার পেয়েই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তা-ই নয়, রাজ্যের মন্ত্রীদেরও নিজেদের দফতরে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ছবি লাগাতে বললেন তিনি। মন্ত্রীদের পাশাপাশি, দলীয় বিধায়কদের একই বার্তা দেন মমতা।

    সোমবার বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অধিবেশন সেরে তিনি যান খিদিরপুরে। সেখানে পুড়ে যাওয়া বাজার পরিদর্শন করেন তিনি। তার পর আবার বিধানসভায় ফিরে আসেন। সোমবার বিধানসভায় ছিল মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেই বৈঠকের আগে স্পিকারের ঘরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, সেখানে প্রায় ১৫-২০ মিনিট ছিলেন তিনি। সেই সময়ই মুখ্যমন্ত্রীর হাতে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ছবি তুলে দেন স্পিকার। ছবি হাতে পেয়েই মুখ্যমন্ত্রী জানান, সেটি নবান্নে টাঙানো হবে। একই সঙ্গে মন্ত্রী এবং দলীয় বিধায়কদেরও দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ছবি নিজেদের দফতরে টাঙাতেও বলেন মমতা।

    সামনেই রথযাত্রা। সেই উপলক্ষে সাজ সাজ রব দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে। গত বুধবার স্নানযাত্রা উপলক্ষে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে নিজের বাড়ির গাছের আম-কাঁঠাল পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরের দিন, বৃহস্পতিবার রথযাত্রার আয়োজন নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠকও করেন তিনি। অনুমান করা হচ্ছে, রথযাত্রার সময় এ বছর প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ ভক্ত উপস্থিত হবেন দিঘায়। এই বিপুল জনসমাগম সামলাতে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসন, পুলিশ, দমকল ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কাজ করার নির্দেশও দিয়েছেন। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬ জুন মুখ্যমন্ত্রী দিঘায় পৌঁছোবেন। ২৭ জুন রশি টেনে তিনি রথযাত্রার সূচনা করবেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রথম সোনার ঝাঁটা দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে রশি টানবেন।

    গত ৩০ এপ্রিল, অক্ষয়তৃতীয়ায় দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হয়। শুভ ক্ষণে মন্দিরের দ্বার উন্মোচন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের অন্যতম প্রধান সেবায়েত রাজেশ দয়িতাপতির নেতৃত্বে পুরোহিতেরাই প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিলেন। কলিঙ্গ শৈলীতে তৈরি জগন্নাথদেবের মন্দিরটি পুরীর মন্দিরের আদলে তৈরি। ২০১৮ সালে পূর্ব মেদিনীপুর সফরে গিয়ে দিঘায় ওই মন্দির তৈরির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কোভিড পর্বে মন্দির তৈরির কাজ বন্ধ ছিল। তবে পরে দ্রুত গতিতে শেষ হয় মন্দিরের কাজ। ‘সম্পূরা’ আদলে এই মন্দির গড়তে রাজস্থান থেকে অন্তত ৮০০ কারিগর আনা হয়েছিল।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)