ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত। তাতেই আহত হয়েছেন তিন জন। আহতদের ভর্তি করা হয়েছে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঠাকুরনগর - ঠাকুরবাড়ি এলাকায়। যে অঞ্চলে এই ঘটনা সেখানেই বাড়ি কেন্দ্রীয় জলপথ এবং জাহাজ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের। ওই এলাকাতেই বাড়ি বাগদা কেন্দ্রের বিধায়ক মধুপর্না ঠাকুরের। সোমবার রাতে এই ঘটনার পরেই এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বাংলাদেশ সীমান্তের কাছেই ঠাকুরনগর - ঠাকুরবাড়ি এলাকা। সেই সঙ্গে ওই এলাকাতেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবং রাজ্যের এক বিধায়কের বাড়ি। ফলে ওই এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা থাকে। এই নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেও কী ভাবে দুষ্কৃতীরা ঘুরে বেড়াতে পারে এবং একাধিক ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে ঠাকুরনগর - ঠাকুরবাড়ি এলাকায় মন্দিরের সামনের মাঠে আড্ডা দিচ্ছলেন গৌরব মন্ডল, রাজ মিস্ত্রি, উজ্জ্বল কাঞ্জিলালরা। একটি মোটরসাইকেলে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সময় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মোটরসাইকেলের মালিক এসে ওই যুবকদের অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে থাকে। দু'পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটিও হয়। ওই ব্যক্তি চলে গেলেও পরে দলবল নিয়ে এসে সেখানে থাকা পাঁচ জন যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারে। তাতেই গুরুতর আহত হন রাজু, গৌরব ও উজ্জ্বল । স্থানীয়রা তাঁদের নিয়ে যান গ্রামীণ হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে দু'জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও গৌরব-সহ তিন জনকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।