৫০ শতাংশ টাকা খরচে ব্যর্থ জেলার ৭ পঞ্চায়েত সমিতি, ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যয়ের নির্দেশ মালদহ প্রশাসনের
বর্তমান | ১৭ জুন ২০২৫
সন্দীপন দত্ত, মালদহ: কোথাও টেন্ডার নিয়ে সমস্যা। কোথাও আবার কাজই শুরু হয়নি। গত বেশকিছু আর্থিক বছরের টাকা জমে পাহাড়। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচের নিরিখে এখনও ৫০ শতাংশের নীচে মালদহ জেলার সাতটি পঞ্চায়েত সমিতি। সম্প্রতি প্রশাসনের তরফে বৈঠক করে রীতিমতো ধমক দেওয়া হয় তাদের। বেঁধে দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট সময়সীমা। ডিসেম্বরের মধ্যেই পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সমস্ত টাকা খরচ করতে হবে বলে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে মালদহ জেলা প্রশাসনের তরফে। জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, সবাইকে ডেকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু কেন ডিসেম্বরের মধ্যে টাকা খরচের সময় সীমা বেঁধে দেওয়া হল। মালদহ জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে,এখন ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ চলছে। কিন্তু পঞ্চায়েত সমিতিগুলির কাছে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের যে ১৩ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা পড়ে আছে, সেই টাকা গত আর্থিক বছরের। এরমধ্যে ২০২০-২১ থেকে ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের কিছু কিছু টাকা ক্যারি ফরওয়ার্ড হয়ে এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। এপ্রিল থেকে নতুন অর্থ বর্ষ শুরু হলেও ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকবে এবছর পুজোর সময়। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আসতে আসতে মার্চ মাস হয়ে যাবে। কাজেই গত আর্থিক বছরের টাকা ডিসেম্বরের মধ্যে খরচ করতে না পারলে পড়ে থাকা টাকার অঙ্কের পরিমাণ ক্রমশ বাড়তে থাকবে।
মালদহ জেলা পরিষদের অতিরিক্ত নির্বাহী আধিকারিক সেখ আনসার আহমেদ বলেন, সবাইকে ডিসেম্বরের মধ্যে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচ করতেই হবে।
মালদহ জেলায় ১৫টি পঞ্চায়েত সমিতি আছে। প্রশাসন সূত্রে ১৩ জুন পর্যন্ত পাওয়া পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের খরচের মোট পরিমাণ মাত্র ৩৮.৩৫ শতাংশ। যদিও আটটি পঞ্চায়েত সমিতি খুব ভালো কাজ করলেও বাকি সাতটি পঞ্চায়েত সমিতি টাকা খরচের নিরিখে ৫০ শতাংশের নীচে রয়েছে। তাদের মধ্যে আবার চারটি ব্লকের টাকা খরচের পরিমাণ ২০ শতাংশেরও নীচে। যেমন পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের মাত্র ১৫.১১ শতাংশ টাকা খরচ করতে পেরেছে। মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতি এখনও পর্যন্ত খরচ করেছে মাত্র ১৫.৭০ শতাংশ। কালিয়াচক-২ পঞ্চায়েত সমিতি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ১৬.৭২ শতাংশ টাকা খরচ করেছে। কালিয়াচক-১ পঞ্চায়েত সমিতি খরচ করেছে ১৮. ৪০ শতাংশ টাকা। এছাড়াও কালিয়াচক-৩ পঞ্চায়েত সমিতি খরচ করেছে ২৫ শতাংশ টাকা। রতুয়া-২ পঞ্চায়েত সমিতি খরচ করেছে ৩০ শতাংশ এবং চাঁচল-২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি ৪৭. ৬০ শতাংশ টাকা খরচ করতে পেরেছে বলে মালদহ জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।