নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহার জেলায় আরও দু’টি শিল্পতালুক গড়ার উদ্যোগ চলছে। মাথাভাঙা মহকুমায় এই দু’টি শিল্পতালুক গড়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যেই এমএসএমই দপ্তরের পক্ষ থেকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। এখানে প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে তোলা হবে। দুই জায়গায় পাঁচ একর করে জমির উপর এগুলি তৈরি হবে। প্রত্যেকেই চাইছেন এই জায়গায় যাতে প্রকৃত শিল্পদ্যোগীরা স্থান পান। সেজন্য তারাও বিভিন্ন জায়গায় শিল্পদ্যোগীদের সঙ্গে বৈঠক করছে। তাদের দাবি, যদি প্রকৃত শিল্পদ্যোগীরা এসব জায়গায় স্থান পান, তাহলে এই শিল্পতালুকগুলির আগামী দিনে ভালো চলার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা বলেন, মাথাভাঙায় দু’টি প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক করার জন্য এমএসএমই দপ্তর নোটিস করেছে। বেসরকারি লোকেরাই এখানে শিল্প স্থাপন করবেন। সরকারের পক্ষ থেকে পরিকাঠামোগত সহায়তা করা হবে। পাঁচ একর করে জমির উপর এগুলি হবে। সব সময়ই চেষ্টা করা হয় যাতে জেলায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন কোচবিহারে যাতে আরও শিল্প হয়। সেই অনুসারে কাজ হচ্ছে।
ডিস্ট্রিক্ট ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বণিক বলেন, জেলায় শিল্প গড়তে আমরাও চেষ্টা চালাচ্ছি। প্রশাসনও এই চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা চাই যাঁরা শিল্প সম্পর্কে জানেন তাঁদেরই এই দায়িত্ব দেওয়া হোক। যাঁরা ঘরে শিল্প করছেন তাঁদেরই এই সব জায়গায় জমি দেওয়ার চেষ্টা করছি। এতে অনেক শিল্প গড়ে উঠবে।
কোচবিহার জেলায় একটি বড় এলাকাজুড়ে রয়েছে চকচকা শিল্পতালুক। সেখানে ছোট ও মাঝারি বহু শিল্প সফল ভাবেই চলছে। এদিকে, মেখলিগঞ্জে শিল্পতালুক গড়ার লক্ষ্যে আগেই ৪০০ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। ৪০ একর করে ওই জায়গাটিতে শিল্পতালুক গড়ে তোলার কথা। কিন্তু ওই জায়গার জন্য এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইএওয়াই) এখনও হয়নি।
আগামী দিনে ওই জায়গায় সমস্ত কাজ শেষ হলে বিশাল এলাকাজুড়ে শিল্পতালুক গড়ে উঠবে। তার পাশাপাশি ব্লকে ব্লকে একএকটি শিল্পতালুক গড়ে উঠলে জেলায় আরও শিল্প গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
শিল্পদ্যোগীরাও চাইছেন, যাঁরা বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন জায়গায় ছোট ও মাঝারি শিল্প চালাচ্ছেন, বাড়িতে বসে যাঁরা শিল্প চালান তাঁদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র করে দিয়ে ওসব শিল্পতালুকে নিয়ে আসতে। এতে তাঁদের যেমন সুবিধা ও লাভ হবে, তেমনই জেলাও শিল্পের ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে যেতে পারবে। ফাইল চিত্র