সংবাদদাতা, তুফানগঞ্জ: অন্তঃসত্ত্বা বধূকে মারধরের অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে তুফানগঞ্জ থানার নাককাটিগাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম চামটায়। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। জখম বধূ বর্তমানে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এনিয়ে বধূর দাদা থানায় দ্বারস্থ হয়েছেন।
স্থানীয় ও বধূর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনহাটা মহকুমার ছোট ফলিমারি গোবরছড়ার বাসিন্দা রাব্বিনা খাতুনের সঙ্গে নাককাটিগাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম চামটার বাসিন্দা সাহাবাদ আলির মাস দশেক আগে বিয়ে হয়। যৌতুকের জিনিসপত্র পছন্দ না হওয়ার অজুহাতে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন মহিলার উপর নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি নির্যাতনের মাত্রা চরম আকার ধারণ করে। মহিলার দাদা আনোয়ার আলি বলেন, শুরুতে সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। বিয়ের কিছুদিন কাটতে না কাটতেই পণ হিসেবে আরও মোটা টাকা দাবি করে বোনের উপর চাপ সৃষ্টি করে ওর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। টাকা দিতে না পারলে ওরা বোনের উপর অকথ্য অত্যাচার শুরু করে। বোন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তারপরেও ওর পেটে লাথি, ঘুষি মারা হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয়ে ওঠে যে ওকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় আমাদের। থানায় আমরা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। ওদের কঠোর শাস্তির দাবি করছি।
এ ব্যাপারে তুফানগঞ্জ মহকুমা পুলিস আধিকারিক কান্নিধারা মনোজ কুমার বলেন, লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। মহিলার স্বামী সাহাবাদ আলিকে রবিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।