নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: মাঝেমধ্যে মেঘ-বৃষ্টির ঘনঘটা থাকলেও অসহ্য দাবদাহে পুড়ছে রায়গঞ্জ শহর ও আশপাশের গ্রামাঞ্চল। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। আর গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাপের উপদ্রব। যার জেরে আতঙ্কিত রায়গঞ্জের বাসিন্দারা। গত ৩০ দিনে শহর সংলগ্ন গ্রামাঞ্চল থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ১৭০ টি সাপ উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে ৮০ টি গোখরো এবং কালাচ প্রজাতির সাপ। রবিবারও শহর সংলগ্ন পটলমোড়, বাজিতপুর, হালালপুর এলাকায় তিনটি বাড়ি থেকে তিনটি গোখরো উদ্ধার হয়েছে। সম্প্রতি জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রুনিয়া গ্রামে একটি বাড়ি থেকে ৪০ টি ডিম সহ একটি পূর্ণবয়স্ক গোখরো উদ্ধার হয়।
রায়গঞ্জের পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলি সূত্রে খবর, গরম পড়লেই সাপের আনাগোনা শুরু হয় তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা জায়গায়। যে কোনও গৃহস্থ, স্কুল বাড়ি, ঝোপঝাড় সংলগ্ন অফিস ঘরে সাপ নিজেদের আস্তানা করে ফেলে। এবারও গরম পড়তেই সাপের উপদ্রব শুরু হয়েছে। রায়গঞ্জের পরিবেশপ্রেমী সংগঠন উত্তর দিনাজপুর পিপলস ফর অ্যানিমেলসের সদস্যদের বক্তব্য, গত ৩০ দিন ধরে সাপ ধরার জন্য ঘনঘন ফোন আসছে। দিনে ১৫ থেকে ২০ টি জায়গা থেকে সাপ উদ্ধার হচ্ছে। যার সিংহভাগই বিষধর গোখরো এবং কালাচ প্রজাতির।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির কর্মকর্তা গৌতম তান্তিয়ার বক্তব্য, গরম পড়তেই শহরের দেবীনগর, উকিলপাড়া, কলেজপাড়া, কাশিবাটি ছাড়াও শহর সংলগ্ন সুভাষগঞ্জ, মেন্দিগ্রাম, বড়ুয়া, বাজিতপুর, বোগ্রাম, কর্ণজোড়া এলাকায় বিষধরদের সন্ধান মিলেছে। সবচেয়ে বেশি মিলছে গোখরো। তাঁর পরামর্শ, এই সময়টা অন্ধকার, ঝোপ, রাস্তাঘাট, পরিত্যক্ত পুরনো বাড়ি এলাকায় আনাগোনার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। স্বেচ্ছাসেবীদের বক্তব্য, সাপ দেখলে মেরে না ফেলে বনদপ্তর ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে খবর দিতে হবে। সরীসৃপ এই প্রাণীদের নির্বিচারে মেরে ফেললে পরিবেশের জীব বৈচিত্র বিঘ্নিত হবে।