গৌতমের হস্তক্ষেপে ফুলবাড়ি সীমান্ত থেকে অবরোধ তুললেন ট্রাক ব্যবসায়ীরা
বর্তমান | ১৭ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: সরাসরি ভুটান থেকে বোল্ডার আমদানি করছে বাংলাদেশ। এর জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে ভারতের বোল্ডার রপ্তানিকারক, পরিবহণ মালিক এবং কর্মীরা। এর প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে ফুলবাড়ি স্থলবন্দরে আন্দোলন শুরু করে ফুলবাড়ি বর্ডার লোকাল ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, ফুলবাড়ি এক্সপোর্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন, ফুলবাড়ি ড্রাইভার অ্যাসোসিয়েশন ও ফুলবাড়ি সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। সকাল থেকে ভুটানের ট্রাক আটকে দিয়ে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। সীমান্তে উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় বিশাল পুলিসবাহিনী। পরে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস পেলে পথ অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। তবে আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
অভিযোগ, ভারতীয় বোল্ডার আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কর চাপালেও ভুটানের বোল্ডার আমদানিতে কর চাপায়নি। এই পরিস্থিতিতে ভুটান থেকে বোল্ডার বোঝাই ট্রাক ওভারলোড করে ফুলবাড়িতে আসছে। অতিরিক্ত বোল্ডার বহনের জন্য ট্রাকের গঠনে নিয়ম বহির্ভূতভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে। এনিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। আন্দোলনকারীদের দাবি, চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তের মতো ভুটানের ট্রাক বোল্ডার নিয়ে এসে ফুলবাড়ি সীমান্ত এলাকায় জমা করবে। সেখান থেকে বোল্ডার ভারতীয় ট্রাকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হবে। ভুটানের ট্রাক নিয়ন্ত্রণ না করা হলে ভারতীয় বোল্ডার ব্যবসায় যুক্ত ট্রাক মালিক, চালক, এক্সপোর্টাদের ব্যবসা শেষ হয়ে যাবে।
এদিন সকাল থেকে ভুটানের ট্রাক আটকে আন্দোলন নামে ওই চারটি সংগঠনের সদস্যরা। এ খবর পেয়ে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল ডেকে পাঠান। আন্দোলনকারীরা গৌতম দেবের বাড়িতে বৈঠকে বসেন। মেয়র দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
আন্দোলনকারীদের তরফে মহম্মদ শাহাজাহান বলেন, চারমাস ধরে ভারতের একটি ট্রাকও বাংলাদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ব্যাপক সমস্যায় পড়েছি আমরা। সেজন্য বাধ্য হয়ে ভুটানের ট্রাক আটকে বিক্ষোভ দেখাই। যেভাবে ভুটানের ট্রাক অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাংলাদেশে যাচ্ছে তাতে ভারতের থেকে আর বোল্ডার নেবে না বাংলাদেশ। গৌতম দেব বলেন, শুধুমাত্র ভুটানের ট্রাক যাবে এটা হতে পারে না। সীমান্তের সমস্ত পরিকাঠামো রাজ্য সরকার তৈরি করে দিয়েছে। এদেশের মানুষকে বঞ্চিত করা যাবে না। আমি পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহনকে সব জানিয়েছি। এক-দু’দিনের মধ্যে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক, পরিবহণ দপ্তর ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসে এই সমস্যার সমাধান করা হবে।