নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: মাঝেমধ্যেই ছড়াচ্ছে বিশৃঙ্খলা। দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে হাঙ্গামা বাঁধানোর চেষ্টা চলছে। তা রুখতে খড়িবাড়িতে নজরদারি বাড়াচ্ছে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ (এসএমপি)। তারা পুলিসের দেওয়া রিপোর্ট অনুসারে সংশ্লিষ্ট ব্লকের ৩০টি মন্দির সহ স্পর্শকাতর এলাকায়, রাস্তায় সিসি ক্যামেরা বসাচ্ছে। সোমবার মহকুমা পরিষদ কর্তৃপক্ষ প্রশাসনিক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে এদিন চারতলা বিশিষ্ট মহকুমা পরিষদ ভবনে লিফ্টের শিলান্যাস করা হয়েছে।
মহকুমার স্পর্শকাতর ব্লকগুলির মধ্যে খড়িবাড়ি অন্যতম। নেপাল সীমান্তবর্তী এই ব্লকে কয়েক মাসের মধ্যে একাধিকবার উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পুলিস ও প্রশাসন চেষ্টা চালিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করেছে। এই অবস্থায় ব্লক এলাকার নজরদারিতে নড়েচড়ে বসেছে মহকুমা পরিষদ। ইতিমধ্যে তাদের কাছে ব্লকের স্পর্শকাতর এলাকা সম্পর্কে রিপোর্ট দিয়েছে পুলিস। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে মহকুমা পরিষদ কর্তৃপক্ষ অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে নিয়েছে।
সভাধিপতি অরুণ ঘোষ বলেন, খড়িবাড়ি ব্লকের মন্দির সহ ৩০টি স্পর্শকাতর এলাকা পুলিস চিহ্নিত করেছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে গোলমাল বাধানোর ষড়যন্ত্র চলছে। তা রুখতেই সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে প্রায় ১০০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। সেগুলিতে নাইট ভিশন এবং অডিও রেকর্ডের ব্যবস্থা থাকবে। নিজস্ব তহবিল থেকে এই কাজ করা হবে। নিয়মিত পুলিস সেগুলির ফুটেজ খতিয়ে দেখবে।
এরবাইরে মহকুমার মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিভিন্ন এলাকার উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। সভাধিপতি বলেন, পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ব্লকের স্পর্শকাতর, গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। পাশাপাশি, পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেট এবং দার্জিলিং জেলা পুলিসের আধিকারিকরা বলেন, স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতে পুলিসি টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। কিছু এলাকায় পুলিস কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, এদিন নারকেল ফাটিয়ে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভবনে লিফ্ট বসানোর শিলান্যাস করেন সভাধিপতি। অনুষ্ঠানে সহকারী সভাধিপতি রোমা রেশমি এক্কা, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস, বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ কেশোরী মোহন সিং, অতিরিক্ত জেলাশাসক নির্মাল্য ঘরামি উপস্থিত ছিলেন। সভাধিপতি বলেন, ভবনের উপর তলায় ১২০আসন বিশিষ্ট মিটিং হল তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রতিটি ঘর সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এবার লিফ্ট বসানোর কাজে হাত দেওয়া হচ্ছে। এতে খরচ হবে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা।