সাঁইথিয়া শহরে পুকুরগুলির হাল ফেরাতে উদ্যোগী পুরসভা, নোটিস দিল মালিকদের
বর্তমান | ১৭ জুন ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: অপরিষ্কার পুকুর। অধিকাংশ পুকুরই কচুরিপানায় ঢেকেরয়েছে। সেইসঙ্গে পুকুর পাড়েও আবর্জনার স্তূপ জমছে। পরিবেশযে দূষিত হচ্ছে তা বলার অবকাশ থাকে না। সাঁইথিয়া পুরসভা পুকুর সংস্কারের জন্য মালিকদের নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে, পুকুর পাড়ের আবর্জনা সাফাইয়েরও উদ্যোগ নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে শহরের ৫১টি পুকুরের পাড় পরিষ্কার করার কাজ শুরু করেছে। ২ জুন থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিক পুকুরের পাড় পরিষ্কার করার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি কাজ ২০ তারিখের মধ্যে শেষ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব দত্ত বলেন, পুকুর সংস্কারের জন্য মালিকদের আবারও নোটিস পাঠানো হবে। অন্যদিকে, নিজস্ব খরচে পুরসভা পুকুরের পাড়ে জমে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার শুরু করেছে। দু’টি ধাপে শহরের প্রতিটি পুকুরের পাড় পরিষ্কার করা হবে। এরপর পুকুর পাড়ে নোংরা আবর্জনা ফেলা হলে জরিমানা করা হবে। এবিষয়ে স্থানীয়দের সতর্ক করে প্রতিটি পুকুর পাড়ে নোটিস বোর্ড লাগানো হবে।
সাঁইথিয়া পুরসভায়মোট ৮৫টি পুকুর রয়েছে। অধিকাংশই কচুরিপানায় ঢাকা। বলাবাহুল্য অপরিষ্কার। সেইসঙ্গে পুকুর পাড়েও কমবেশি আবর্জনার স্তূপ নজরে আসে। পুরসভার তরফে জানা গিয়েছে, শহরের পুকুরগুলি ব্যক্তিমালিকানাধীন।মালিকরা অধিকাংশই শহরের বাইরে থাকেন। প্রায় এক বছর আগে পুকুরের মালিকদের নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই নোটিসে কোনও কাজ হয়নি। বছর অতিক্রান্ত হলেও মালিকপক্ষের কোনও উদ্যোগ নজরে আসেনি। ফের পুরসভা নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এবারও মালিকরা উদ্যোগী না হলেআইনি পদক্ষেপ করা হবে। পাশাপাশি পুরসভা ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা খরচে প্রথম ধাপে ৫১টি পুকুরের পাড় পরিষ্কার শুরু করেছে। এই কাজ শেষ হলে বাকি ৩৪টি পুকুরের পাড় সংস্কার করা হবে। পুকুর পাড়গুলিতে যাতে নতুন করে আবর্জনা না জমে সে জন্য জরিমানার সিদ্ধান্তও চূড়ান্ত হয়েছে। পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নতুন করে পুকুর পাড়ে নোংরা আবর্জনা ফেলা হলে ন্যূনতম ১ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাঁর কথায়, কঠোর পদক্ষেপ না নিলে পুকুর পাড় পরিষ্কার রাখা সম্ভব হবে না। পুরসভার এই উদ্যোগকে স্থানীয়রাও সাধুবাদ জানিয়েছেন। -নিজস্ব চিত্র