• ভরতপুরে ডাম্পার, ট্রাক্টর নয়, গোরু ও মোষের গাড়িতে পাচার হচ্ছে বালি
    বর্তমান | ১৭ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কান্দি: হয় সন্ধ্যায়, নয় তো ভোররাতে। এই দুই সময়ে ভরতপুর ১ ব্লকের কুয়ে নদী থেকে দেদার বালি পাচার হচ্ছে। বালি পাচার হচ্ছে গোরু ও মোষের গাড়িতে করে। এমন ঘটনা জানা সত্ত্বেও প্রশাসন গাড়ি আটক করতে পারছে না বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। স্থানীয় এলাকায় কোনও পশু খোঁয়াড় না থাকার জন্যই এমন হচ্ছে। যদিও দ্রুত ভরতপুর পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে খোঁয়াড় খোলার জন্য দরপত্র নেওয়া হবে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশাসনের নজরদারির ফলে কুয়ে নদীতে ট্রাক্টরের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালি তোলার ঘটনা অনেক কমেছে। কিন্তু গোরু ও মোষের গাড়ি করে বালি পাচারের ঘটনায় কোনওমতে রাশ টানা যাচ্ছে না। প্রতিদিন সন্ধ্যা ও ভোরে আলো আধাঁরিতে কুয়ে নদী থেকে বালি তুলে পাচার করা হচ্ছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই ব্লকের শেরপুর, তালগ্রাম, ঝিকড়া, ছত্রপুর, শুনিয়া ইত্যাদি গ্রামের কাছে কুয়ে নদী থেকে দেদার বালি তোলা হচ্ছে গোরু ও মোষের গাড়ি করে। একগাড়ি বালি প্রায় ১২০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

    তালগ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, প্রতিদিন বালিঘাট থেকে ৫০ গাড়ি করে বালি তুলে নিয়ে যাচ্ছে গোরু ও মোষের গাড়িগুলি। পুলিস এসব জানলেও কিছুই করতে পারছে না। বিএলএলআরও দপ্তরও এসব জেনেশুনে চুপ হয়ে রয়েছে। প্রায় একই বক্তব্য শেরপুর গ্রামের একাধিক বাসিন্দার। এই গ্রামে সন্ধ্যা ও ভোর ছাড়াও ভর দুপুরে বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে ভরতপুর ১ বিএলএলআরও আনন্দমোহন মাইতি বলেন, ঘটনার কথা জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এদিকে ভরতপুর থানার এক অফিসার জানিয়েছেন, যেহেতু এই এলাকায় কোনও পশু খোঁয়াড় নেই, তাই গোরু বা মোষের গাড়ি আটক করার পরে গবাদিগুলিকে রাখা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তবে সম্প্রতি ভরতপুর পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এলাকায় পশু খোঁয়াড়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান অনিতা মণ্ডল বলেন, খোঁয়াড় খোলার জন্য আগামী বৃহস্পতিবার দরপত্র সংগ্রহ করা হবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)