• বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ১৭ জন উপভোক্তা বাড়ি তৈরি করেনি, ৮ জনের টাকা ফেরত, ন’জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
    বর্তমান | ১৭ জুন ২০২৫
  • সংবাদদাতা, তেহট্ট: বাংলার বাড়ি প্রকল্পে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পেয়েও ঘর না করার অভিযোগে ১৭ জন উপভোক্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করল তেহট্ট-১ ব্লক প্রশাসন। তাঁদের মধ্যে আটজন ঘরের টাকা জমা দিয়েছে ব্লক প্রশাসনকে। বাকি নয়জনের বিরুদ্ধে বিডিও থানায় সাধারণ অভিযোগ করেছেন। যদি তাঁরা টাকা ফেরত না দেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর হবে বলেও জানিয়েছেন বিডিও সঞ্জীব সেন।  

    ব্লক প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, তেহট্ট-১ ব্লকের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রথম পর্যায়ে ১৯২৬ জন বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বাড়ি পেয়েছেন। তাঁদের প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ডিসেম্বর মাসে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্লক প্রশাসন। ঘর শুরু হয়েছে এই ছবি ও সরেজমিনে তদন্তের পর দ্বিতীয় কিস্তির ৫০ হাজার টাকা মে মাসে পেয়েছেন  উপভোক্তারা। প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে ৫৯ জন উপভোক্তা বাড়ি শুরু করেননি। তাঁদের সেই সময় সাতদিনের মধ্যে বাড়ি শুরু করার নির্দেশ দিলেও ১৭ জন সেই নির্দেশের পরেও বাড়ি তৈরি করেননি। যদিও এই ১৭ জন দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাননি।  সম্প্রতি  ঘরের কাজ কেমন হচ্ছে, তা সরেজমিনে তদন্ত করতে যান ব্লক প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিক। সেখানে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে যাঁরা বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বাড়ি পেয়েছেন সেই সব উপভোক্তার বাড়িতে যান। তাঁরা গিয়ে ওই ১৭ জন উপভোক্তার হদিশ পান। তাঁদের সাতদিন সময় দেওয়া হয়। কিন্তু কেউই সাতদিনের মধ্যে বাড়ি তৈরি শুরু করেননি। এরপর তাঁদের ডেকে পাঠিয়ে টাকা ফেরত দিতে বলে ব্লক প্রশাসন। সেই মতো প্রথম দফায় পাঁচজন উপভোক্তা টাকা ফেরত দেন। বাকিরা টাকা ফেরত না দেওয়ায় বিডিও পুলিসে অভিযোগ করেন। পুলিসের তৎপরতায় আরও তিনজন টাকা ফেরত দিলেও বাকি নয়জন না বাড়ি করেছে, না টাকা ফেরত দিয়েছে। সেই নয়জনের বিরুদ্ধে বিডিও থানায় জেনারেল ডায়েরি করেছেন।  

    বিডিও সঞ্জীব সেন বলেন, প্রথম কিস্তির টাকা তাঁরা পেয়েছেন। বারবার বলা হলেও তাঁরা বাড়ি তৈরি করেননি। এইজন্য তাঁদের শোকজ করা হয়েছিল। তারপরেও তাঁরা বাড়ি তৈরি করেননি। বাড়ি না হওয়ায় তাঁদের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হয়নি। সেই কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)