• রানাঘাট হাসপাতালে ‘মেটারনিটি হাব’, এক ছাদের নীচেই প্রসূতিদের সমস্ত পরিকাঠামো
    বর্তমান | ১৭ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: এবার রানাঘাট হাসপাতালে তৈরি হতে চলেছে পৃথক ‘চাইল্ড অ্যান্ড মেটারনিটি হাব’। পুরাতন ভবন থেকে মেডিকেল এবং সার্জিক্যাল ওয়ার্ডগুলি সরে যাওয়ায় এবার সেখানেই গড়ে তোলা হবে প্রসূতি মায়েদের জন্য বিশেষ পরিকাঠামো। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পুরাতন ভবনের খোলনলচে বদলে ফেলার কাজ। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই মহকুমা হাসপাতাল হওয়া সত্ত্বেও পৃথক মেটারনিটি হাব তৈরির কৃতিত্ব অর্জন করবে রানাঘাট হাসপাতাল। 

    বেশ কয়েক বছর আগে কোভিডকালে সরকারি হাসপাতালগুলিতে স্থায়ীভাবে পৃথক কোভিড ভবন তৈরির নির্দেশিকা জারি করেছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেই নির্দেশিকা মেনে রাজ্যের মহকুমা ও স্টেট জেনারেল স্তরের ৪২টি হাসপাতালের পাশাপাশি ৫৪টি ছোট হাসপাতালেও আলাদা করে কোভিড ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। নদীয়া জেলার মধ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতাল, রানাঘাট মহকুমা হাসপাতাল এবং নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে কোভিড ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর। হাসপাতালের মূল ভবনের অনতিদূরে শুরু হয় ত্রিতল অত্যাধুনিক ভবন তৈরির কাজ। কিন্তু পরবর্তীতে করোনার গ্রাফ থিতু হতেই নবনির্মিত ঝাঁ চকচকে ভবনটি এক প্রকার ফাঁকাই পড়েছিল। এদিকে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ রোগীর চাপ বাড়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোভিড সময়ে তৈরি হওয়া ভবনটিতেই পুরুষ এবং মহিলাদের মেডিকেল ও সার্জিক্যাল ওয়ার্ড স্থানান্তরিত করে নেওয়া হয়। এতে ফাঁকা হয়ে যায় পুরাতন ভবনটি। ফলে সেখানেই ‘চাইল্ড অ্যান্ড মেটারনিটি হাব’ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অপারেশন থিয়েটার, প্রসূতি বিভাগ, স্তন্যপানের জায়গা, ওয়ার্ড, গাইনোকোলজি এবং পেডিয়াট্রিকের সমস্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে সেখানেই। ফলে এক ছাদের নীচেই সমস্ত পরিষেবা পাবেন প্রসূতি মায়েরা। মহকুমাস্তরের হাসপাতালে এই ধরনের পৃথকহাব গড়ে তুলে জেলায় নজির সৃষ্টি করতে চলেছে রানাঘাট হাসপাতাল। 

     বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল সুপার প্রহ্লাদ অধিকারী বলেন, পুরুষ এবং মহিলা মেডিসিন এবং সার্জিক্যাল ওয়ার্ড নতুন ভবনের স্থানান্তরিত হয়ে যাওয়ার পর আমরা অনেকটা জায়গা খালি পেয়েছি। প্রসূতি মায়েদের বিস্তীর্ণ হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় বারবার যাওয়ার সমস্যা। তাই আমরা পুরাতন ভবন সংস্কার করা শুরু করেছি। ওই ভবনটি সংশ্লিষ্ট বিষয়ের জন্য পৃথক হাব হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ফলে অল্প পরিসরের মধ্যেই সমস্ত পরিষেবা পাবেন প্রসূতি মায়েরা। শুধু তাই নয়, শয্যা সংখ্যা বাড়বে। অনেক বেশি মানুষ পরিষেবা পাবেন। এছাড়াও ওই ভবনেই মেডিকেল অফিসারদের রেস্টরুম তৈরি করা হচ্ছে। ফলের চিকিৎসকদের তাৎক্ষণিক পর্যবেক্ষণও মিলবে। ভবন সংস্কারের কাজ হলে হাব তৈরি শুরু হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)