• কালীঘাটে টাকা নিতে এসে গ্রেপ্তার ভবানীপুরে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত
    বর্তমান | ১৭ জুন ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পকেটে টান পড়ায় কালীঘাট এলাকার এক পরিচিতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ভবানীপুরের বেণীনন্দন স্ট্রিটে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত অশেষ সরকার ওরফে পিকলু। সোমবার সকালে সে টাকা নিতে আসবে, এই খবর পৌঁছে যায় কালীঘাট থানায়। সেখানে আসতেই তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

    শুক্রবার ভরদুপুরে বেণীনন্দন স্ট্রিটে প্রকাশ্য রাস্তায় কুপিয়ে খুন করা হয় সোনার দোকানের কর্মী সৌমেন ঘরাকে (৩৫)। তাঁর মালিকের বাড়ি মেরামতির কাজ চলছিল। ভাঙাচোরার পর রাবিশ নিয়ে যে লরিটি যাচ্ছিল, তার ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্থানীয় এক ভুজিয়াওয়ালার দোকান। ওই দোকানের মালিকের সঙ্গে সৌমেনের বাকবিতণ্ডা হয়। ক্ষতিপূরণ বাবদ তিনি টাকা দিতে রাজি হলে সমস্যা মেটে। সেই সময় আচমকা উল্টোদিকের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে সৌমেনের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে পিকলু। বচসা চলাকালীন ছুরি নিয়ে সৌমেনের পেটে ও বুকে এলোপাথাড়ি কোপায় সে। এরপর পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় সৌমেনকে। তদন্তে নেমে পুলিস দেখে, অভিযুক্তের মোবাইল বন্ধ। তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। স্থানীয় সূত্রে পুলিস খবর পায়, কালীঘাট এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোনে কথা বলেছে পিকলু। সে ওই ব্যক্তির থেকে টাকা চেয়েছে। এরপর পুলিস খোঁজ করে জানতে পারে, পিকলু এদিন সকালে  কালীঘাট এলাকায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাছে আসবে। সেখানে পৌঁছনো মাত্র তাকে ধরে ফেলেন তদন্তকারীরা। 

    ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অফিসাররা জেনেছেন, খুনের পর সে এলাকা থেকে পালিয়ে দক্ষিণ কলকাতায় ঘোরাঘুরি করছিল। ধরা পড়ার আশঙ্কায় নিজের মোবাইল ফোনটি ভেঙে ফেলে। সিমও ফেলে দেয়। এরপর ট্রেন ধরে ক্যানিংয়ের দিকে গিয়েছিল। রাত কাটিয়েছে ফুটপাতে। টাকা না থাকায় সমস্যা পড়ে। সেকারণে সে কালীঘাট এলাকায় এসেছিল টাকা নিতে। ওই টাকা নিয়ে তার ভিন রাজ্যে পালানোর ছক ছিল। 
  • Link to this news (বর্তমান)