আদিগঙ্গার পাড়ে সরকারি জমিতে তৈরি দোকান ভাঙা শুরু বারুইপুরে
বর্তমান | ১৭ জুন ২০২৫
সংবাদদাতা, বারুইপুর: সরকারি জায়গা দখল নিয়ে বারবার কড়া মনোভাব দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী জবরদখল মুক্ত করতে সক্রিয় হয়েছে প্রশাসন। বারুইপুরের দক্ষিণ শাসন বাইপাস থেকে নরেন্দ্রপুরের কামালগাজি পর্যন্ত আদিগঙ্গার পাড় দখল করে রমরমিয়ে চলছিল হোটেল, মুদি দোকান, বাইক গ্যারাজ থেকে শুরু করে নানাবিধ দোকান। সেচদপ্তরের মগরাহাট ড্রেনেজ ডিভিশন ও বারুইপুর মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে সোমবার প্রাথমিক পর্যায়ে বাইপাসে বারুইপুরের পদ্মপুকুর থেকে স্মৃতিমহল পর্যন্ত অবৈধ দোকান ভাঙার কাজ শুরু হল। এদিন জেসিবি দিয়ে দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। এর আগে দখলদারদের সরে যাওয়ার নোটিস জারি করে। তাতে তেমন কাজ না হওয়ায় প্রশাসন থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল।
সেচদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, আগমী দিনে বারুইপুরের বংশীবটতলা থেকে শাসন পর্যন্ত এবং নরেন্দ্রপুর ও সোনারপুরের দিকেও অবৈধ দোকান ভাঙার কাজ শুরু হবে। এর জন্য প্রশাসনিক মিটিংও হয়ে গিয়েছে। অবৈধ দোকানদারদের নোটিস দেওয়া হয়েছিল সরে যাওয়ার জন্য। কামালগাজি থেকে বারুইপুরের দক্ষিণ শাসন বাইপাস পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার জায়গা লোহার ফেনসিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে। এর জন্য ১ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছে।
সোমবার এই অভিযান ঘিরে বারুইপুর থানার পুলিসবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। সেচদপ্তরের আধিকারিক ছাড়াও বারুইপুর ব্লকের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে ছিলেন। গঙ্গার পাড় দখল করে চায়ের দোকান, হোটেল, গ্যারাজ সবই চলছিল। এমনকী, বৈদ্যুতিক মিটারও নেওয়া হয়েছিল সেই দোকানগুলিতে। অবৈধভাবে থাকা দোকানদাররা নিজেরাই নিজেদের মালপত্র সরিয়ে নেন। তবে বেলা চারটে নাগাদ ব্যববসায়ীদের একাংশ রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। তাঁদের দাবি, এই ব্যাপারে নোটিস দেওয়া হলেও অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা উচিত ছিল প্রশাসনের। এছাড়াও বাইপাসে কামালগাজি থেকে বারুইপুর আসার পূর্বদিকে খাল পাড় দখল করে রেস্তরাঁর বেআইনি পার্কিং জোন, ক্লাব গড়ে উঠেছে তাও প্রশাসনের ভেঙে দেওয়া উচিত। কেন সেগুলি ভাঙা হবে না সেই প্রশ্ন তোলেন অবরোধকারীরা। বেলা ছ’টা নাগাদ অবরোধ উঠে যায়। তারপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেআইনি পার্কিং জোন ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র