নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ কারখানা থেকে বেরনো বিষাক্ত জল পড়ছে চাষের জমিতে। ফলে নষ্ট হচ্ছে ফসল। সোমবার এই অভিযোগ তুলে সরব হলেন বারাসতের ইছাপুর-নীলগঞ্জের চাষিরা। তাঁদের দাবি, হাঁটুসমান দূষিত জলে পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে জমি। ফলে চাষের ক্ষতি হচ্ছে। পঞ্চায়েত অবশ্য সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।
বারাসত ১ ব্লকের ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকায় বহু বছর ধরেই রয়েছে দুধ উৎপাদক একটি বেসরকারি সংস্থার কারখানা। পাশেই রয়েছে সদরপুর গ্রাম। আর সেখানে আছে কয়েকশো বিঘা চাষের তিনফসলি জমি। উচ্ছে, বেগুন, পটল, শাক সহ নানা ধরনের সব্জি চাষ হয় সেখানে। যদিও, অধিকাংশ জমিতেই চাষ হয় পটল। অনেকে ঋণ নিয়ে এবছর সব্জি চাষ শুরু করেছেন। ফলনও হয়েছে বেশ। এই পরিস্থিতিতে ওই কারখানার রাসায়নিক মিশ্রিত দূষিত জল চাষের জমিতে ঢুকে ফসল ও জমির ক্ষতি করছে বলেই অভিযোগ চাষিদের। তাই, সব্জি নষ্ট হওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে তাঁদের। এনিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা পঞ্চায়েত ও কারখানা কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন। কিন্তু স্থায়ী সুরাহা হয়নি বলেই দাবি তাঁদের। স্থানীয় চাষি রাজু মণ্ডল, আয়ুব আলি বলেন, এলাকায় ২০০ বিঘা জমি রয়েছে। কারখানার দূষিত জল জমিকে নষ্ট করছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত বা কারখানায় জানিয়েও কাজ হয়নি। এই প্রসঙ্গে ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের প্রধান নরেন্দ্রনাথ দত্ত বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সংস্থার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকায় জনবসতি গড়ে ওঠার কারণে নিকাশির সমস্যা তৈরি হয়েছে। ফলে কারখানার দূষিত জল চাষের জমিতে ঢুকে পড়ছে। অবিলম্বে নিকাশি সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি চাষের জমির দিকের নিকাশি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও এনিয়ে অবশ্য কারখানা কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে রাজি হয়নি। সিপিএম নেতা আহমেদ আলি খান বলেন, চাষিদের অভিযোগ ন্যায্য। পঞ্চায়েত সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ বলেই আমাদের মনে হচ্ছে।-নিজস্ব চিত্র