জল মার্গ বিকাশ প্রজেক্টের জাতীয় সেমিনার তথা কেন্দ্রের ডাকা পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত হয়ে রাজ্যের নদীগুলির ভাঙন সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। সোমবার পাটনায় আয়োজিত এই বৈঠকে তিনি গঙ্গা, ভাগীরথী ও হুগলি নদীর ভাঙন সহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এই সব সমস্যা সমাধানের জন্য কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্যকে কোনও আর্থিক সহায়তা করা হয় না বলে সরব হন মন্ত্রী। পাশাপাশি নদীগুলির নাব্যতা কমে যাওয়ার জন্য ড্রেজিংয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা ফের একবার তুলে ধরেন তিনি।
জাতীয় জলপথ ১-এর জল মার্গ বিকাশ প্রকল্পের অধীনে হলদিয়া থেকে বারাণসী পর্যন্ত উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সুদৃঢ় করতে বাংলা, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডকে নিয়ে এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রের বন্দর, নৌ পরিবহন ও জলপথমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল সহ চার রাজ্যের মন্ত্রী ও আমলারা। পশ্চিমবঙ্গের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন সেচদপ্তরের যুগ্ম সচিব বিপ্লব মুখোপাধ্যায়, ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সিরাজ দানেশ্বর এবং সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। রাজ্যে জল মার্গ বিকাশ প্রকল্পের ‘নোডাল দপ্তর’ হল পরিবহণ দপ্তর। তবে নদী সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই বৈঠকে মানস ভুঁইয়া যোগদান করেন।
বৈঠকে উপস্থিত হয়ে প্রথমেই মন্ত্রী জানিয়েছেন, জাতীয় জলপথ–১–এর পরিবেশবান্ধব জলপথ ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই প্রকল্প নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিশ্বব্যাঙ্কের সহায়তায় পরিবহণ দপ্তরের তত্ত্বাবধানে ২০২১ সাল থেকে ত্রিবেণী থেকে নুরপূর পর্যন্ত জল প্রকল্পের অগ্রগতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। পাশাপাশি রাজ্যের নদী ভাঙন নিয়ে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভাঙনের জেরে রাজ্যে গঙ্গা, ভাগীরথী ও হুগলি নদী সংলগ্ন এলাকার খুব খারাপ অবস্থা। এই ইস্যুতে কেন্দ্রের সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথা বৈঠকে তুলে ধরেন মন্ত্রী। তাঁর দাবি, ভাঙন রোধে কোনও আর্থিক সাহায্য করে না কেন্দ্র। এই কারণে রাজ্যের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে রাজ্যে চালু হওয়ায় জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের সাফল্যের কথাও বৈঠকে তুলে ধরেছেন মানস ভুঁইয়া।