অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস নজরুল ইসলামের উদ্যোগে তৈরি বসন্তপুর এডুকেশন সোসাইটি নামে কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন রেজিস্ট্রার বাইজিদ হোসেন আদালতের নির্দেশের পরে তাঁর গ্র্যাচুইটি বাবদ প্রাপ্য টাকা হাতে পেলেন। ডোমকলের সহকারী শ্রম কমিশনার ২ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকার চেক বাইজিদের হাতে তুলে দিয়েছেন। মুর্শিদাবাদের যুগ্ম-শ্রম কমিশনার বিতান দে সোমবার বলেছেন, “এটা আমাদের দৈনন্দিন কাজের মধ্যে পড়ে। তা-ই করেছি।” বাইজিদ জানিয়েছেন, ২০১৭-য় তাঁকে সোসাইটি সরিয়ে দেয়। তাঁর বক্তব্য, “গ্র্যাচুইটি না-পেয়ে সহ-শ্রম কমিশনারের কাছে আবেদন করি। রায় আমার পক্ষে হয়। সোসাইটি তার বিরোধিতায় যুগ্ম-শ্রম কমিশনার এবং কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করলেও রায় আমার পক্ষেই এসেছে। অনেকে আবেদন, মামলা করেছেন। কর্মচারীদের গ্র্যাচুইটি দিক সোসাইটি।” এই বিষয়ে সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নজরুল অবশ্য বলেছেন, “বাইজিদ যখন কাজ করতেন, তখন নিয়ম মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা গ্র্যাচুইটি পেতেন না। ২০২০-তে সুপ্রিম কোর্ট একটি রায় দিয়েছিল। আদালতের নির্দেশ সোসাইটি মানতে বাধ্য। দেশের আইন সোসাইটি মানবে না, তা বলা যায় না। সোসাইটিকে চিন্তা করতে হবে কী করে আইন মানবে।”