• ‘সব তো শেষ! দেরির জন্য লজ্জা করে না?’ ক্ষোভের মুখে দমকলমন্ত্রী
    এই সময় | ১৭ জুন ২০২৫
  • এই সময়: কোথাও আগুন লাগলেই দমকল দেরিতে আসার অভিযোগ ওঠে। খিদিরপুর মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাতেও সেই একই অভিযোগে সরগরম রইল সোমবার। ব্যবসায়ীদের প্রশ্নের মুখে মেজাজ হারালেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।

    প্রশ্ন উঠেছে, আগুন লাগার আধঘণ্টা পরে দমকলের মাত্র ২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে কেন পৌঁছল? কেন আরও তৎপর হলো না দমকল? পাশেই আদি গঙ্গা। সেখান থেকে পাম্পের মাধ্যমে জল দেওয়ার ব্যবস্থা করতেও ভোর হয়ে গেল কেন!

    রবিবার রাত ১টা নাগাদ খিদিরপুর মার্কেটের মাখনপট্টিতে আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ছ’সাতশো দোকান। ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়েন সুজিত।

    দমকলের পাল্টা অভিযোগ, ওই এলাকার রাস্তার কারণেই তাদের ফায়ার টেন্ডার ঢুকতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। তবে, আগুন নেভাতে কোনও দেরি হয়নি। স্থানীয় কয়েক জন সুজিতকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘কেন দেরি হয়েছে? লজ্জা করে না?’

    পাল্টা ধমক দিয়ে সুজিতের মন্তব্য, ‘লজ্জা কেন পাবে? দমকল তাদের কাজ করছে। আপনারা আপনাদের কাজ করুন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’

    মার্কেটে তিনটি দোকান রয়েছে দিলীপ বাউলের। আগুন নেভার পরে দোকানগুলোয় অবশিষ্ট বলে কিছু নেই। মাখন-ঘিয়ের পাইকারি ব্যবসা করতেন দিলীপ।

    তিনি বলেন, ‘আমার কাছে খবর যায় ১টা নাগাদ। আমি ২টো ১৫ মিনিট নাগাদ হাওড়া থেকে চলে আসি। তার পরেও দেখি দমকল নেই। তাতেই খটকা লাগে। এখানে দমকল আসতে এত দেরি কী করে হয়? পৌনে তিনটে নাগাদ দমকলের দু’টি ইঞ্জিন আসে।’

    ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, যখন পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে গিয়েছিল, তখন ইঞ্জিনের সংখ্যা বাড়ানো হয়। ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যবসায়ীর কথায়, ‘আমি চোখের সামনে দেখলাম, কী ভাবে দোকানটা পুড়ে ছাই হয়ে গেল। পাশেই আদি গঙ্গা।

    জোয়ারও ছিল। ওদের অনুরোধ করলাম, পাম্প দিয়ে জল দিন। দেখলাম পাম্পে পর্যাপ্ত তেলই নেই! আমরা বালতি করে জল দিতে শুরু করি।’ অভিযোগ, সকাল ৬টায় পাম্প চালু হয়েছিল।

  • Link to this news (এই সময়)