• মুর্শিদাবাদ হিংসায় গ্রেফতার ২ মাস্টারমাইন্ড, এরাই ওয়াকফ বিক্ষোভ করিয়েছিল
    আজ তক | ১৭ জুন ২০২৫
  • মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ডাকবাংলো ক্রসিংয়ে ওয়াকফ সংশোধনী বিল প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ আয়োজনের অভিযোগে পুলিশ দু'জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত  দু'জনই মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে কাজ করেছিল। সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ এই দু'জনকে গ্রেফতার  করেছে। 

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সামশেরগঞ্জ ডাকবাংলাো ক্রসিংয়ে সমাবেশের পেছনে এই দু'জনের হাত রয়েছে। ধৃতদের নাম কাউসার শেখ এবং মুরসালিম শেখ। তাদের বাড়ি সামশেরগঞ্জ থানার শুলিতলা এলাকায়। আরও জানা গেছে যে ধৃতরা  একটি এনজিওর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।  মঙ্গলবার ধৃতদের জঙ্গিপুর উপজেলা আদালতে হাজির করা হয়। 

    প্রসঙ্গত গত এপ্রিলে ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকা। সংশোধিত ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে  সুতি থানার সাজুর মোড় এবং সামশেরগঞ্জ থানার ধুলিয়ান মোড় এলাকায় অবরোধ করেন কয়েক হাজার জনতা। ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে রণক্ষেত্র চেহারা নেয় মুর্শিদাবাদ ।  ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে উন্মত্ত বিক্ষোভকারীদের হিংসার বলি হতে হয়েছিল ধুলিয়ানের জাফরাবাদের বাসিন্দা সত্তর বছরের হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে (৪০)। সম্প্রতি সেই ঘটনায় চার্জশিট  জমা দিয়েছে পুলিশ। সেখানে ১৩ অভিযুক্তই সামশেরগঞ্জের।

    মুর্শিদাবাদের অশান্তির ঘটনায় বহিরাগত তত্ত্ব সামনে এসেছিল। খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, বাইরের লোক এসে এলাকায় ঝামেলা করেছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও এমনই বলেছিল। কিন্তু পুলিশের চার্জশিট সম্পূর্ণ উল্টো কথা বলছে। এখানে উল্লেখ করা হয়েছে, যে ১৩ জনের নাম উঠে এসেছে তারা সকলেই সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা। কেউই বাইরের নন, এমন কারও নামও নেই। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর অভিযুক্তরা কীভাবে ঘটনা ঘটিয়েছিলেন? তারপর কোথায়, কীভাবে লুকিয়ে ছিলেন, কতদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন? সব তথ্য চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। 
  • Link to this news (আজ তক)