সামান্য বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের গণ্ডগোলের জেরে ধারালো অস্ত্রের কোপে জখম হয়েছেন পাঁচ জন। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি এলাকায়। ওই এলাকাতেই কেন্দ্রীয় জলপথ ও জাহাজ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ও বাগদা কেন্দ্রের বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুরের বাড়ি। সেই কারণে ওই এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা থাকে। কিন্তু তারপরেও এই গণ্ডগোলের ঘটনা কীভাবে ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে ঠাকুরবাড়ি এলাকায় মন্দিরের সামনের মাঠে আড্ডা দিচ্ছিলেন গৌরব মণ্ডল, রাজ মিস্ত্রি, উজ্জ্বল কাঞ্জিলাল সহ ৫–৬ জন যুবক। আড্ডা দেওয়ার সময় তাঁদের মধ্যে ২–১ জন ওই মাঠেই দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাইকের উপরে বসেছিলেন। সেই সময় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাইকের মালিক এসে ওই যুবকদের গালিগালাজ করতে থাকেন। দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এরপর ওই ব্যক্তি কয়েকজন দুষ্কৃতীকে নিয়ে এলাকায় আসেন। সেই দুষ্কৃতীরাই গৌরব সহ পাঁচ জন যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। কিছুক্ষণ পর দুষ্কৃতীরা এলাকা ছাড়লে জখম যুবকদের উদ্ধার করে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। প্রাথমিক চিকিৎসার পর দুই জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় রাজু, গৌরব ও উজ্জ্বলকে পাঠানো হয়ে বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
এই ঘটনার পর এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে তার খুব কাছেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্যের এক বিধায়কের বাড়ি। এই রকম একটি এলাকায় কীভাবে দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালাতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা। একজনকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ। দ্রুত সব অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।