• হাত-পা বেঁধে প্রসূতির অস্ত্রোপচার, মৃত মা-সদ্যোজাত
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৭ জুন ২০২৫
  • তরুণীর হাত-পা বেঁধে সিজার করার অভিযোগ উঠেছে মালদহের একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মা ও সদ্যোজাত দুই জনেরই মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালটি কালিয়াচকে অবস্থিত। এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।

    মৃত প্রসূতির নাম ফুলটুসি খাতুন (২৪)। তিনি ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ মির্জাপুরের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে প্রসবযন্ত্রণা শুরু হওয়ায় তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে মালদহে নিয়ে এসেছিলেন তাঁর স্বামী। সেই সময় অ্যাম্বুল্যান্স চালক তাঁদের ভুল বুঝিয়ে মালদহ মেডিক্যালের বদলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন, চিকিৎসার কোনও পরিকাঠামো সেখানে নেই। এমনকী ওষুধপত্রও নেই। কিন্তু তরুণীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখানেই তরুণীকে ভর্তি করাতে হয়। অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের আগে হাত–পা বেঁধে ফেলা হয়েছিল তরুণীর। সিজারের পর এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু সদ্যোজাত শিশুকে রাখার পরিকাঠামোও হাসপাতালে ছিল না বলে অভিযোগ।

    অস্ত্রোপচারের পর একদিকে মা ও অন্যদিকে শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সদ্যোজাতকে মালদহ মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করে দেয়। ভোর পাঁচটা নাগাদ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় শিশুকে। এরপর বেসরকারি হাসপাতালে ফিরে এলে পরিবারের সদস্যরা দেখেন, ফুলটুসির মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পরেও তাঁর হাত–পা বাঁধা ছিল বলে অভিযোগ। শনিবার সকালে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে সদ্যোজাত শিশুরও মৃত্যু হয়। এরপরই ওই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

    জেলাশাসক নিতীন সিংহানিয়া ওই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে কঠোর আইনি পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তরও। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)