ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ভারতের মাটিতে ঢুকে ছবির মতো সুন্দর উপত্যকাকে মানুষের রক্তে স্নান করানোর মতো নৃশংস অপরাধ ঘটিয়ে ফেলেছে পাক জঙ্গিরা। এপ্রিলের সেই দুঃসহ সময়ের পর কাটতে চলেছে প্রায় ২ মাস। অথচ জঙ্গিরা এখনও ধরা পড়েনি কেন? এই সহজ প্রশ্নের উত্তর চেয়ে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা একাধিকবার কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছেন। সন্ত্রাস দমনে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করে সংসদীয় প্রতিনিধিদল পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে বিশ্ব ভ্রমণের পরও এ প্রশ্নের জবাব মেলেনি। পহেলগাঁও হামলার (Pahalgam Terror Attack) ৫৫ দিনের মাথায় ফের কেন্দ্রের কাছে পাঁচ প্রশ্নের জবাব চেয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর সুর ধরেই কেন্দ্রকে আক্রমণের পথে হেঁটে তৃণমূলের আরেক সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) দাবি করলেন, ‘দেশবাসী জবাব চায়।’
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ২৬ জনকে হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানকে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। কেন এই অপারেশন, কতটা প্রয়োজন ছিল, বিভিন্ন দেশ ঘুরে বিশ্বমঞ্চে তা স্পষ্ট করেছে সংসদীয় প্রতিনিধিদল। যে দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের এমন এক সংকট মুহূর্তে রাজনীতি ভুলে কেন্দ্রের পাশে থাকতে অভিষেকই বিভিন্ন দেশে মোদি সরকারের ভূমিকার কথা তুলে ধরেছেন। তারপরও অবশ্য হামলা সংক্রান্ত কিছু প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। সোমবার অভিষেক সোশাল মিডিয়ায় পাঁচ জবাব চেয়েছিলেন। তা হল ?
চার সন্ত্রাসী কীভাবে সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে ২৬ জন নিরীহ নাগরিককে হত্যা করেছিল? জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘনের দায় কার? যদি এটি গোয়েন্দা ব্যর্থতা হয়, তাহলে কেন গোয়েন্দা ব্যুরো প্রধানের মেয়াদ এক বছরের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল? তাও আবার এই জঙ্গি হামলার মাত্র এক মাস পরেই? জবাবদিহি করার বদলে কেন তাঁকে ‘পুরস্কৃত’ করা হল?
এবার তাঁরই সুর ধরে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও (Mahua Moitra) কেন্দ্রের কাছে কার্যত জবাবদিহি চাইলেন। সোশাল মিডিয়ায় ভিডিও বার্তা দিয়ে মহুয়ার প্রশ্ন, যেখানে পহেলগাঁও হামলা (Pahalgam Terror Attack) নিয়ে সমস্ত বিরোধী দল সংসদে বিশেষ অধিবেশনের দাবি তুলছে, সেখানে কেন কেন্দ্র স্থানুবৎ? কেন দাবি মেনে বিশেষ অধিবেশন ডাকছে না? এত কীসের ভয়? এরপর মহুয়ার দাবি, দেশবাসী কিন্তু এসবের জবাব চায়।