ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: একঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিধানসভায় এসি বিভ্রাট। অধিবেশন কক্ষে কোনও এসি চলছে না। সমস্ত জানলা খোলা সত্ত্বেও দমবন্ধ পরিস্থিতি। এই প্রথম এসি নিয়ে বিধানসভায় এত বড় সমস্যা বলে জানা যাচ্ছে। হাঁসফাঁস অবস্থায় ভরা অধিবেশন ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন তৃণমূল দুই বিধায়ক। বললেন, ”সাফোকেশন হচ্ছে।” জানা যাচ্ছে, দুপুর ১টা ৩২ অর্থাৎ বিধানসভা দ্বিতীয়ার্ধ্বের অধিবেশন শুরুর আগে থেকেই সমস্যা দেখা দেয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রে। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সময়ও কাজ চলছে বলে খবর।
বিধানসভায় চলছে বাদল অধিবেশন। মঙ্গলবার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিল ও বিষয় নিয়ে আলোচনা চলে। তারই মাঝে দ্বিতীয়ার্ধ্বের অধিবেশন শুরুর আগে থেকে এসি নিয়ে বিভ্রাট দেখা দেয়। খবর দেওয়া হয় পূর্তদপ্তরে। অধিবেশন শুরু হয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তৃতা দিয়ে। সেই সময় একে একে অধিবেশন কক্ষের সব দরজা খুলে দেওয়া হয়। অধিবেশন কক্ষে মোট ১৫টি দরজা রয়েছে, সব ক’টি দরজাই খুলে দেওয়া হয়। বক্তৃতা শেষ করে শুভেন্দু প্রশ্ন করেন, “সব দরজা খোলা কেন?” স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “এসিতে ইলেকট্রিক্যাল ফল্ট হয়েছে।” মিনিট ১০ পর এসি চালু হয়।
কিন্তু ২০ মিনিট পর আবার বিভ্রাট দেখা দেয় এসিতে। তখন ফের সমস্ত দরজা খোলা হয়। ভরা অধিবেশনে তখন আলোচনা চলছিল। মহিলা বিধায়কদের দেখা দেয়, কাগজকে পাখার মতো ব্যবহার করছেন। তবে এসি সমস্যার জেরে বেশি অসুবিধায় বলেন দু, একজন বিধায়ক। ভরা অধিবেশন ছেড়ে বেরিয়ে যান দুই সেলিব্রিটি বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় ও লাভলি মৈত্র। যাওয়ার সময় নয়না পাশে বসে থাকা আরেক সেলেব বিধায়ক অদিতি মুন্সিকে ডেকে বলে যান, “ওঠো, কী শুনছো বসে? সাফোকেশন হচ্ছে।” কিছুক্ষণ বাইরে কাটিয়ে অবশ্য নয়না আবার অধিবেশনে ফেরেন। এদিকে, এসি সমস্যা বড়সড় বলে মনে হচ্ছে। পূর্তদপ্তরের কর্মীরা ছাদ থেকে এসির লাইন পরীক্ষা করেন। ত্রুটি ধরা পড়েনি এখনও।