• ‘জলাভূমির চরিত্র বদল করলেই শাস্তি’, বিধানসভায় কড়া জবাব চন্দ্রিমার
    প্রতিদিন | ১৭ জুন ২০২৫
  • ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিধানসভায় চলছে বাদল অধিবেশন। আজ মঙ্গলবার বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ রাজ্যের বিভিন্ন অংশের জলাভূমি নিয়ে প্রশ্ন করেন। তাঁর উত্তরে পরিবেশ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, জলাভূমির চরিত্র বদল করা যাবে না। জলাভূমি ভরাটের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকার জরিমানার শাস্তি রয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। অন্যদিকে, বিধানসভায় পূর্তদপ্তরের তরফ থেকে বসানো হল বাক্স। সেখানে সমস্ত দলের বিধায়করা নিজেদের এলাকার খারাপ রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন। সঙ্গে নতুন রাস্তার প্রয়োজনীয়তার কথাও জানাতে পারবেন বিধায়করা।

    রাজ্যের বিভিন্ন অংশে বারবার জলাভূমির চরিত্র বদল করে তা বুজিয়ে নির্মাণের অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে বিরোধীরা সরব হয়। বাদল অধিবেশনের প্রশ্ন-উত্তর পর্বে বিজেপির শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ জলাভূমির চরিত্র ও সেই সংক্রান্ত প্রশ্ন করেন। তার জবাবে পরিবেশ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য জানান, “জলাভূমির চরিত্র বদল করা যাবে না। ভূমি ভরাটের অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের তিন বছরের কারাদণ্ড। এবং পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার শাস্তি রয়েছে।

    উল্লেখ্য, বারাকপুরে জলাভূমি ভরাট নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ। তিনি বলেছিলেন, “৩৫টি রেকর্ডেড জলাশয় ভরাট হয়েছে। পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে লিখিত জানিয়েছে। বিধায়ক পবন সিংকে বলেছি বিধানসভায় এনিয়ে সওয়াল করতে।” এদিন শংকরের প্রশ্নে কড়া বার্তা দিলেন চন্দ্রিমা।

    অন্যদিকে, এই বাদল অধিবেশনেই কয়েকদিন আগে খারাপ রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে বাক্স বসনোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। আজ, মঙ্গলবার সেই বাক্স বসানো হল। উল্লেখ্য, বিধানসভায় পূর্ত দপ্তরের আলোচনার সময় একাধিক বিধায়ক খারাপ রাস্তা নিয়ে কথা বলতে চান। তখনই অধক্ষ্য বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্তদপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়কে বিধানসভায় একটি অভিযোগ বাক্স রাখতে বলেন। যেখানে সব বিধায়করা নিজেদের এলাকার খারাপ রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে পারবে। সেই মতো আজকে বাক্স বসানো হল।

    এদিকে আজ অধিবেশন চলার সময় কক্ষে এসি বিভ্রাট হয়। মঙ্গলবার দ্বিতীয়ার্ধে অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে এসি বিভ্রাট লক্ষ্য করা হয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বকতৃতা দিতে উঠলে শেষে খুলে দেওয়া হয় ১৫টি দরজাই। শুভেন্দু শেষে জিজ্ঞাসা করেন, “সব দরজা খোলা কেন?” স্পিকার বলেন, “এসিতে ইলেকট্রিক্যাল কিছু ফল্ট হয়েছে। তাই।” অবশ্য ১০ মিনিটের মধ্যেই সেই সমস্যা মিটে যায়।
  • Link to this news (প্রতিদিন)