• খিদিরপুরে আগুন নেভাতে গাফিলতি! বিধানসভায় বিবৃতি দিয়ে অভিযোগ খণ্ডন দমকল মন্ত্রীর
    প্রতিদিন | ১৭ জুন ২০২৫
  • ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের (Khidirpur Fire) ঘটনায় আগুন নেভানোর কাজে গাফিলতির বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছে। কখনও বলা হচ্ছে, দমকল দেরিতে পৌঁছয়, কখনও আবার অভিযোগ ওঠে, আগুন নেভানোর মতো পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা ছিল না। মঙ্গলবার বিধানসভায় এই ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose)। একে একে সকলের সমস্ত অভিযোগ খণ্ডন করলেন তিনি। অগ্নিকাণ্ডের সময় থেকে আগুন নিভে যাওয়া পর্যন্ত সময় ধরে ধরে পরিস্থিতির বর্ণনা দিলেন সুজিত বসু। তাঁর আবেদন, ”সেনাবাহিনী যেভাবে কাজ করে, দমকল কর্মীরাও তাঁদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। তাঁদের ছোট করবেন না।”

    রবিবার গভীর রাতে খিদিরপুরে অগ্নিকাণ্ডের (Khidirpur Fire) ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল, দমকলের কাছে পর্যাপ্ত জল ছিল না। ইঞ্জিন পৌঁছতে দেরি হয়েছে, জল দেওয়ার সময় দমকলের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার বিধানসভায় এসব অভিযোগের জবাব দিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose)। দাবি করেছেন, ”জীবন বাজি রেখে দমকল বাহিনী আগুন নেভানোর কাজ করে। গত বছর আগুন নেভাতে গিয়ে চারজন দমকল কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল। বালিতে আগুন নেভাতে গিয়ে একজন দমকল কর্মী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। দেশের সেনাবাহিনী যেভাবে লড়াই করে, সেভাবেই লড়ে দমকল বাহিনী।”

    বিধানসভায় সুজিত বসু বিবৃতি দিয়ে জানান, ”রাত ২.০৫ মিনিটে প্রথম দমকলের কন্ট্রোল রুমে ফোন আসে। সঙ্গে সঙ্গেই দমকলের গাড়ি পৌঁছয়। ২০ টি ইঞ্জিন গিয়েছে সেখানে, আমি নিজে সকাল ছ’টায় পৌঁছই। একাধিক আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন। দমকলের গাড়ি দেরি করে পৌঁছেছে যাঁরা বলেছেন, এটা ঠিক নয়। ইঞ্জিনে ফুয়েল ছিল। গঙ্গা থেকে জল তোলার জন্য কেন পাম্প চলেনি, সেটা দেখতে হবে। তবে পরে আদি গঙ্গা থেকে জল এনে জল দেওয়া হয়েছে আগুন নেভানোর জন্য।”

    দমকল মন্ত্রী আরও জানান, ”মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েছিলেন সেখানে। রিপোর্ট তৈরি করে জমা দিতে বলেছেন। আমরা সেই প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি করে পাঠিয়েছি। ৭০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে। এখনও কাজ চলছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি জানিয়েছেন। সময়মতো পাম্প চলেনি কেন বা দমকল কর্মীদের কাজ নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছে, সেটা একেবারেই বেঠিক। জীবনকে বাজি রেখে দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ করে।”

    এদিকে, মঙ্গলবারও খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ মার্কেটে ধিকিধিকি আগুন জ্বলছে। সেখানে গিয়ে ফরেনসিক টিম নমুনা সংগ্রহ করে। এদিন সেখানে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংও। অগ্নিকাণ্ড সামলাতে প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)