• হালতুর পর এ বার রাজডাঙা, একই পরিবারের ৩ সদস্যের দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য
    এই সময় | ১৮ জুন ২০২৫
  • কসবার হালতুর পরে এ বার রাজডাঙা, একই পরিবারের তিন সদস্যের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য। মঙ্গলবার কসবা থানার অন্তর্গত ৫০ রাজডাঙা গোল্ড পার্কের একটি আবাসনের তিনতলা থেকে ৩ জনের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের নাম সরজিৎ ভট্টাচার্য (৭০), তাঁর স্ত্রী গার্গী ভট্টাচার্য (৬৮) এবং তাঁদের সন্তান আয়ুষ্মান ভট্টাচার্য (৩৮)-এর দেহ।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই এই পরিবারের কোনও সদস্যই বাড়ি থেকে বার হচ্ছিলেন না। আর তা দেখে সন্দেহ হয়েছিল প্রতিবেশীদের। তাঁরা পুলিশে খবর দেয়। এর পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে কসবা থানার পুলিশ দেখে, বাড়ির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। বহু ডাকাডাকির পরেও কেউ দরজা খুললে তা ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ। দরজা ভেঙে পরিবারের ৩ সদস্যের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পুলিশকর্মীরা। তড়িঘড়ি সেই দেহগুলি উদ্ধার করা হয়। তিন জনেরই মৃত্যু হয়েছে, নিশ্চিত করেন চিকিৎসক। ইতিমধ্যেই তিনটি দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

    কী ভাবে মৃত্যু হলো এই তিন জনের? আত্মহত্যা নাকি গভীর ষড়যন্ত্র? উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ জানাচ্ছে, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে শুরু হয়েছে তদন্ত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পরেই মৃত্যুর কারণ বলা সম্ভব, জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা। 

    এই ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কয়েক মাস আগেই হালতুর পূর্বপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের তিন সদস্যের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পেশায় অটোচালক সোমনাথ রায়, স্ত্রী সুমিত্রা এবং আড়াই বছরের পুত্র রুদ্রনীলের মৃত্যুতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, দেনার দায়ে ডুবেছিলেন সোমনাথ। সেই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। 

    প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সমস্যার হাত থেকে বাঁচতে সেই ‘ফাইটিং স্পিরিট’-টাই হারিয়ে ফেলছেন অনেকেই? মনোবিদদের কথায়, ‘আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সকলকে যতটা কাছাকাছি দেখায়, সেই ছবি সবসময় সত্যি নাও হতে পারে। মানুষের সম্পর্কের বাঁধন অনেক সময় আলগা হচ্ছে ফার্স্ট লাইফের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে। কাছের মানুষদের সঙ্গে কথা বলা এবং তাঁদের কথা শোনা খুবই প্রয়োজন।’

  • Link to this news (এই সময়)