• বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছেড়ে সংসার বেছে নেওয়াই কি কাল হলো? সবংয়ে বধূর দেহ উদ্ধারে ঘনাচ্ছে রহস্য
    এই সময় | ১৮ জুন ২০২৫
  • সবংয়ে গৃহবধূর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় জোরাল হচ্ছে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের তত্ত্ব। এই ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তারও করেছে সবং থানার পুলিশ। ওই যুবক সম্পর্কে মৃতের জামাইবাবু হয় বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে মঙ্গলবার মেদিনীপুর জেলা আদালতে তোলা হলে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

    সোমবার সকালে সবং ব্লকের মোহাড় এলাকায় খালের ধার থেকে এক গৃহবধূর দেহ উদ্ধার হয়। সে দিন সন্ধ্যায় ওই যুবকের নামে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের স্বামী। এর পরেই ওই যুবককে আটক করে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। টানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের পরে মঙ্গলবার সকালে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে সবং থানার পুলিশ।

    পুলিশ সূত্রে খবর, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন ওই গৃহবধূ। তার মূল্যই চোকাতে হয়েছে। যদিও, অভিযুক্ত তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে নারাজ। তবে পুলিশ এক প্রকার নিশ্চিত, রবিবার সন্ধ্যায় দেখা করার নাম করে ওই গৃহবধূকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন ওই যুবক। তার পরেই তাঁকে নির্মম ভাবে মারা হয়।

    মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, মুখে আঘাতের দাগ, গলায় দড়ির দাগ ছিল ওই বধূর। এ দিন ময়নাতদন্ত হওয়ার পরে প্রাথমিক রিপোর্ট হাতে এলে বিষয়টা স্পষ্ট হবে। ইতিমধ্যেই ধৃত যুবকের মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের এক আধিকারিক।

    সবং থানা এলাকার ওই মহিলার সঙ্গে তাঁরই এক দূরসম্পর্কের জামাইবাবুর সম্পর্ক তৈরি হয়। ঘর ছেড়েছিলেন ওই মহিলা। যদিও পরে তিনি ফিরে আসেন। স্বামী, মেয়ে নিয়ে সংসার করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। স্বামী তা মেনেও নিয়েছিলেন বলে খবর। তবে ওই যুবক তা মানতে পারেননি। তা থেকেই এই ঘটনা বলে মনে করছে পুলিশ।

    পুলিশের অনুমান, ওই বধূর মুখ চেপে ধরে, গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়। তারপর খালের ধারে দেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। খুনের এই ঘটনাটি রবিবার রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে হয়েছে বলেও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। তবে, ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে আসল ঘটনা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

  • Link to this news (এই সময়)