গঙ্গা পারাপারে এ বার স্মার্ট ফেরি! অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধের ডালি! ত্রিবেণী-হলদিয়া প্রথম দফার কাজ প্রায় সম্পূর্ণ
News18 বাংলা | ১৮ জুন ২০২৫
কলকাতা : কেন্দ্রের জলমার্গ বিকাশ প্রকল্পে ভেসেল, রো-রো, লঞ্চ চালাতে আপত্তি নেই রাজ্যের।কিন্তু ১৯৩ জায়গা চিহ্নিত করলেন ইঞ্জিনিয়াররা, যেগুলো ভাঙনের কারণে বিপর্যস্ত।রাজ্যের তরফে কেন্দ্রের কাছে জানানো হয়েছে ড্যাশিং ওয়েভের কারণে সমস্যা বাড়তে পারে জনপদের।সঞ্চারিত ঢেউয়ের কারণে বাড়তে পারে জনপদের বিপদ।আপাতত হলদিয়ার নুরপুর থেকে ত্রিবেণী পর্যন্ত কাজ চলছে।এর পর সেখান থেকে বিলাইমারি পর্যন্ত কাজ হবে। এই কাজে রাজ্য এখনও পর্যন্ত ২৮ টি জেটি ঘাট সম্পূর্ণ হয়েছে। ১৬ টি জেটি ঘাটের কাজ শেষে হবে সেপ্টেম্বরে।বিশ্বব্যাঙ্কের সহায়তায় রাজ্যে এই কাজ চলছে।এর পাশাপাশি ১.৫ একর জমি চেয়ে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানাল রাজ্য।সেখানে রো-রো ভেসেল বানাতে চায় রাজ্য সরকার।এই প্রকল্পে স্মার্ট ফেরি হবে, ইলেকট্রিক ভেসেল হবে।
জলপথে আমূল পরিবর্তন আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থেকে হুগলি জেলার ত্রিবেণী পর্যন্ত রাজ্যে হতে চলেছে আরও ৫৮টি জেটি। রাজ্যের পরিবহণ দফতরের বৈঠকে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। জলপথে পরিবহণ ব্যবস্থায় জোর দিতেই এই পরিকল্পনা বলে জানানো হয়েছে।আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে এই জেটি ঘাটগুলি নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিক জেটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বছরেই বাকি জেটিগুলির কাজ শুরু হয়ে যাবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে আগামী এক বছরের মধ্যে বাকি জেটি নির্মাণের কাজও শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছে পরিবহণ দফতর।
রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, গোটা প্রকল্পের জন্য খরচ হচ্ছে মোট ১১০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তায় প্রকল্পে খরচ হবে ৭০ শতাংশ এবং বাকি ৩০ শতাংশ টাকার যোগান দেবে রাজ্য সরকার। পরিবহণমন্ত্রী জানিয়েছেন, গোটা প্রকল্পটি অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। যত দ্রুত এই প্রকল্পের কাজ শেষ করা যায়, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেটি ঘাটগুলিতে আনা হচ্ছে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। ঘাটগুলিতে অত্যাধুনিক স্মার্ট গেট সিস্টেম বসানো হবে। এছাড়াও জেটি ঘাটগুলিতে ক্যাফেটেরিয়া বসানোর ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান হয়েছে।জানা গিয়েছে, জলপথে পরিবহণের জন্য অত্যাধুনিক ভেসেল ভাসানো হবে জলে। সেই ভেসেল ২০০ যাত্রীর পরিবহণ করার ব্যবস্থা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও পণ্য পরিবহণে গঙ্গা পারাপারে রো রো সার্কিট তৈরি করা হচ্ছে।
বার্জের মতো এই রো রো সার্কিট বসানো হচ্ছে। এই রো রো গুলির মাধ্যমে পণ্যবাহী লরি পারাপার করবে অতি সহজে।রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া এই বিষয়ে পটনায় এক কনভেনশনে যোগ দিয়েছিলেন, তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের জলপথ পরিবহণে জোর দিচ্ছেন। রাজ্য সমস্ত আধুনিক জলযান চালাতে প্রস্তুত। কিন্তু সঞ্চারিত ঢেউ বা ড্যাশিং ওয়েভের কারণে ভাঙন কবলিত এলাকার ক্ষতি হবার সম্ভাবনা প্রবল। তাই কেন্দ্র রাজ্যের ভাঙন রুখতে টাকা দিক।”